সরকারি–বেসরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছর করাসহ তিন দফা দাবিতে ঢাকার শাহবাগ মোড় অবরোধ করেছেন চাকরিপ্রত্যাশীরা। গতকাল শনিবার শনিবার বিকাল ৩টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত ৫ ঘণ্টা শাহবাগ মোড় অবরোধ করে রেখেছিল একদল চাকরিপ্রত্যাশী। তারা ‘চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩৫ প্রত্যাশী শিক্ষার্থী সমন্বয় পরিষদ’ ব্যানারে শাহবাগে অবস্থান নেন। এতে শাহবাগ ও এর আশপাশের সড়ক বন্ধ হয়ে যায়। তীব্র যানজটে ভোগান্তিতে পড়েন সাধারণ মানুষ। এর আগে সকাল সাড়ে ১১টায় শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে সমাবেশ করে চাকরিপ্রত্যাশীদের এ সংগঠন। এ সময় তাদের মধ্যে যাদের বয়স ৩০ ঊর্ধ্ব হয়ে গেছে, তারা সনদের অনুলিপি ছিঁড়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
পরে রাত ৮টার দিকে ডিএমপির রমনা বিভাগের ডিসি মো. আশরাফ হোসেন ও এডিসি হারুন অর রশিদের নেতৃত্বে পুলিশ সদস্যরা লাঠিপেটা করে আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেন। এ সময় বেশ কয়েকজনকে আটক করে থানায় নিয়ে যেতে দেখা যায়। খবর বিডিনিউজের।
আন্দোলনকারীদের দাবি, তাদের সমন্বয়ক শরিফুল হাসান শুভসহ ৯ জনকে আটক করেছে পুলিশ। তবে এ বিষয়ে পুলিশের তরফে স্পষ্ট কিছু জানানো হয়নি। আন্দোলনকারী সংগঠনের যুগ্ম আহ্বায়ক মোহাম্মদ রাসেলের অভিযোগ, পুলিশ আমাদের ওপর জঘন্য হামলা চালিয়েছে, লাঠিচার্জ করেছে। আমাদের ৯ জনকে আটক করা হয়েছে। প্রায় ৩০–৩৫ জন গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে। তিনি নিজেও আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে গেছেন বলে জানান। আন্দোলনকারীদের তাড়িয়ে দেওয়ার পর সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন রমনা বিভাগের ডিসি মো. আশরাফ হোসেন। তিনি বলেন, তারা সেই দুপুর থেকে এখানে রাস্তা অবরোধ করে রেখেছিল। শাহবাগের মতো গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট দখল করে রোগীসহ সাধারণ মানুষকে ভোগান্তিতে ফেলেছে। জনভোগান্তির কথা বিবেচনায় আমরা তাদের চলে যেতে রিকোয়েস্ট করেছিলাম। জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী মহোদয় তাদের কয়েকজনের সঙ্গে ভিডিও কলে কথা বলে আশ্বস্ত করেছিলেন, তাদের দাবির বিষয়টা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে তুলে ধরা হবে। তারপরও তারা রাস্তা দখল করে রেখেছে। পরে আমরা হুইসেল বাজিয়ে তাদের ডিসপার্স করে দিই। আমাদের কোনো ধরনের লাঠিচার্জের প্রয়োজন হয়নি। আটকের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কতজনকে আটক করা হয়েছে এই মুহূর্তে বলতে পারছি না।
সমাবেশ থেকে চাকরিপ্রত্যাশীরা কয়েকটি দাবি তুলে ধরেন। দাবিগুলো হলো–চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩৫ বছর করতে হবে, অবসরে বয়সসীমা বৃদ্ধি করতে হবে, চাকরিতে আবেদন ফি সর্বোচ্চ ২০০ টাকা করতে হবে এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুষদে বঙ্গবন্ধুর নামে বঙ্গবন্ধু ল’ কমপ্লেঙ (বঙ্গবন্ধু চেয়ার এবং একটি ম্যুরাল) স্থাপন করতে হবে।