২০ লাখ হাসিমুখ এখন শুধুই স্মৃতি

| রবিবার , ১৭ জানুয়ারি, ২০২১ at ১০:৪৮ পূর্বাহ্ণ

সেদিন ছিল ২০২০ সালের ১১ জানুয়ারি, নতুন এক করোনাভাইরাসে প্রথম মৃত্যুর খবর দিয়েছিল চীন। ঠিক এক বছর পাঁচ দিনের মাথায় পুরো বিশ্বে সেই সংখ্যা ২০ লাখ ছাড়িয়ে গেল। এর মধ্যে অর্ধেকের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, ব্রাজিল, ভারত, মেক্সিকো ও যুক্তরাজ্যে, যেখানে বিশ্বের মোট জনসংখ্যার ২৭ শতাংশের বসবাস। খবর বিডিনিউজের। বিশ্বজুড়ে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দ্রুত এগোচ্ছে ১০ কোটির দুঃখজনক মাইলফলকের দিকে। ইতোমধ্যে তা নয় কোটি ৩৪ লাখ ছাড়িয়ে গেছে। এর অর্ধেক রোগীই শনাক্ত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, ভারত, ব্রাজিল, রাশিয়া ও যুক্তরাজ্যে। এর সবই সরকারি সংখ্যা। বিশ্বের অনেক দেশে এখনও করোনাভাইরাস পরীক্ষার পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেই। ফলে আক্রান্ত ও মৃত্যুর অনেক তথ্যই এ হিসাবের বাইরে থেকে গেছে বলে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের ধারণা। সিয়াটলে ইউনিভার্সিটি অব ওয়াশিংটনের ইনস্টিটিউট অব হেলথ ম্যাট্রিক্স অ্যান্ড ইভালুয়েশনের পরিচালক ক্রিস্টোফার মা তাদের গবেষণার বরাত দিয়ে বলেছেন, এমনও হতে পারে যে করোনাভাইরাসে প্রকৃত মৃত্যুর এক পঞ্চমাংশই হিসাবের খাতায় আসছে না।
এই ২০ লাখ মৃত্যুর সংখ্যার কতটা ভয়াবহতা লুকিয়ে আছে, তা একটি তুলনা দিয়ে বোঝানোর চেষ্টা করেছে সিএনএন। বর্তমান বিশ্বে সবচেয়ে বেশি ৫৪৪ জন যাত্রী বহন করতে পারে এয়ারবাস এ৩৮০ উড়োজাহাজ। যদি প্রতিদিন যাত্রীবোঝাই দশটি করে এয়ারবাস এ৩৮০ বিমান বিধ্বস্ত হয়, আর এই ধারা যদি একবছর ধরে চলে, তবে মোট মৃত্যুর সংখ্যা করোনাভাইরাসের মহামারীতে মৃত্যুর সংখ্যার কাছাকাছি হবে।
২০২১ সাল বিশ্বে এসেছে করোনাভাইরাসের টিকার আশা নিয়ে। ইতোমধ্যে কয়েকটি দেশ নাগরিকদের টিকা দেওয়া শুরু করেছে। তবে মোট জনসংখ্যার একটি বড় অংশকে টিকা দিতে লাগবে বহুদিন। কিছু ধনী দেশ তা দ্রুততার সঙ্গে পারলেও গরিব অনেক দেশের টিকা পাওয়াই এখনও নিশ্চিত হয়নি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধইছা দুলাল ও দেলোয়ার স্মৃতি ক্রিকেট টুর্নামেন্ট হাটহাজারী আলোকন সংঘ চ্যাম্পিয়ন
পরবর্তী নিবন্ধবৃহস্পতি গ্রহে এফএম নিয়ে জল্পনা