হয়রানিমূলক মামলা না করতে ১৬ থানার ওসিকে নির্দেশ

আজাদী প্রতিবেদন

পুলিশ-ম্যাজিস্ট্রেসি কনফারেন্সে সিএমএম | বৃহস্পতিবার , ২৩ মার্চ, ২০২৩ at ৮:৩৭ পূর্বাহ্ণ

হয়রানিমূলক মামলা না করতে নগরীর ১৬ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের (ওসি) নির্দেশ দিয়েছেন চট্টগ্রামের চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) মো. রবিউল আলম। গতকাল বুধবার বিকেলে আদালতের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত পুলিশম্যাজিস্ট্রেসি কনফারেন্সে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এই নির্দেশ দেন।

 

কনফারেন্সে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ আবদুল হালিম, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের স্পেশাল ম্যাজিস্ট্রেট তাহমিনা আফরোজ চৌধুরী, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের স্পেশাল ম্যাজিস্ট্রেট মনীষা মহাজন, জেলা আইনজীবী সমিতির পক্ষে উপস্থিত ছিলেন সভাপতি মোহাম্মদ

নাজিম উদ্দিন চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক এএসএম বজলুর রশিদ চৌধুরী (মিন্টু) এবং মহানগর পিপি মো. আব্দুর রশিদ। চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন এডিসি (প্রসিকিউশন) কামরুল হাসান। আরো উপস্থিত ছিলেন পিবিআই, সিআইডি, ডিবি, ট্যুরিস্ট পুলিশ, শিল্পাঞ্চল পুলিশ, কারা প্রশাসন, স্বাস্থ্য ও ফরেনসিক মেডিসিন, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, সমাজ সেবা অধিদপ্তরের প্রতিনিধি।

কনফারেন্সের শুরুতে চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. রবিউল আলম বিগত সভার সিদ্ধান্তসমূহ বাস্তবায়নের অগ্রগতি তুলে ধরার পাশাপাশি বিচারকাজ ও মামলা নিষ্পত্তিতে বিদ্যমান প্রতিবন্ধকতাসমূহ এবং এর কার্যকর সমাধান নিয়ে আলোচনা করেন। বিচারাধীন মামলাসমূহের সুষ্ঠু বিচার প্রক্রয়া দ্রুত সম্পন্ন

করার ক্ষেত্রে কার্যকর ভূমিকা পালনের জন্য মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে বিভিন্ন ধরনের দিক নির্দেশনা প্রদান করেন। তাছাড়া আসামিকে গ্রেপ্তারের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আদালতে উপস্থাপনের বিধান কঠোরভাবে অনুসরণ করার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে নির্দেশ দেন। তদন্তে

ভুল ত্রুটি পরিহার করে দ্রুততম সময়ে রিপোর্ট দাখিলের জন্যও নির্দেশনা প্রদান করা হয়। চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বলেন, সিএমএম আদালতে ২০২২ সালে রেকর্ড সংখ্যক ৩৫ হাজার ৯৫২টি মামলা নিষ্পত্তি হয়েছে। চলতি বছরেও মামলা নিষ্পত্তির ঊর্ধ্বগতি বজায় থাকবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

আদালতসূত্র জানায়, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন চৌধুরী তার বক্তব্যে পুরাতন মামলার তদন্ত সমাপ্তি ও আদালতের হাজতখানায় আনা আসামিদের দুপুরের খাবারের সমস্যা সমাধান নিয়ে মতামত ব্যক্ত করেন। মহানগর পিপি মো. আব্দুর রশিদ অভিযোগপত্রে গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষীদের অন্তর্ভুক্তি করার বিষয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধ১১৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ৩টি প্যাকেজে কাজের দরপত্র উন্মুক্ত
পরবর্তী নিবন্ধকোমর-জুতা-পায়ুপথে ৩২ সোনার বার