যুক্তরাজ্যের ঐতিহাসিক স্থাপত্য স্টোনহেঞ্জের অবস্থানের সঙ্গে চাঁদ বা সূর্যের কোনও যোগসূত্র আছে কি না, তা তদন্ত করে দেখছেন গবেষকরা। সেই লক্ষ্যে এই আদিম স্থাপত্য ও চাঁদের এক বিশেষ মুহূর্ত, যা প্রতি সাড়ে ১৮ বছরে একবারই ঘটে, তাদের মধ্যে সম্ভাব্য যোগসূত্র নিয়ে গবেষণা শুরু করেছে অলাভজনক সংস্থা ‘ইংলিশ হেরিটেজ’ ও বিশেষজ্ঞরা। ওই বিশেষ মুহূর্ত মূলত এমন একটি সময়, যখন চন্দ্রোদয় ও চন্দ্রাস্ত দিগন্তে সবচেয়ে দূরে অবস্থান করে থাকে। খবর বিডিনিউজের। আর এর পরবর্তী ঘটনা দেখা যাবে সম্ভবত ২০২৪–২৫ সালে। গবেষকদের ধারণা বলছে, চাঁদের এ ধরনের গতিবিধি সম্ভবত স্টোনহেঞ্জের প্রাথমিক ধাপে শনাক্ত করা যেত, যা পরবর্তীতে এর নকশা করার ক্ষেত্রেও প্রভাব ফেলেছে। এমন ঘটনা যেহেতু সচরাচর ঘটে না, তাই শিক্ষাবিদরা এ বিষয়ে গবেষণা করার সুযোগ হাতছাড়া করতে চান না বলে প্রতিবেদনে লিখেছে বিবিসি। এজন্য অক্সফোর্ড, লেস্টার ও বোর্নমাউথের বিভিন্ন ইউনিভার্সিটির পাশাপাশি অলাভজনক সংস্থা রয়াল অ্যাস্ট্রনমিকাল সোসাইটির সঙ্গেও কাজ করছে ইংলিশ হেরিটেজ। আমরা হয়ত এমন এক ঘটনা নিয়ে কথা বলছি, যা এক প্রজন্মের সমান। আর এটি দেখতে লোকজনের সম্ভবত উইলটশায়ারে পাড়ি জমাতে হবে, বলেন বোর্নমাউথ ইউনিভার্সিটির গবেষক ড. ফাবিও সিলভা।