করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) মহামারীর মধ্যে বেসরকারি বিদ্যালয়গুলোর প্রথম থেকে নবম শ্রেণিতে ভর্তির জন্য লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী বাছাই প্রক্রিয়া ফেসবুক বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সরাসরি সম্প্রচারের নির্দেশ দিয়েছে সরকার।
লটারির প্রক্রিয়া কোনোভাবেই যেন প্রভাবিত না হয় সেজন্য বেসরকারি স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ এবং বেসরকারি নিম্ন মাধ্যমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের শনিবার (১২ ডিসেম্বর) এই নির্দেশনা পাঠিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)। বিডিনিউজ
অন্যবার প্রথম শ্রেণিতে লটারি এবং দ্বিতীয় থেকে অষ্টম শ্রেণিতে পরীক্ষা নিয়ে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হলেও এবার প্রথম থেকে নবম শ্রেণিতে লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে।
এসব শ্রেণিতে শিক্ষার্থী ভর্তির আবেদন ফি এবার নির্ধারণ করা হয়েছে ১৫০ টাকা।
মাউশি বলছে, বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলো নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় ভর্তির কার্যক্রম লটারির মাধ্যমে পরিচালনা করতে পারবে। িলটারির তারিখ নির্ধারণ করে ভর্তি তদারকি ও পরিবীক্ষণ কমিটিকে অবহিত করতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে লটারির কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে।
লটারির কার্যক্রমে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে ভর্তি নীতিমালা অনুযায়ী গঠিত ভর্তি তদারকি ও পরিবীক্ষণ কমিটি, বিদ্যালয় ভর্তি পরিচালনা কমিটি, অভিভাবক প্রতিনিধি, ব্যবস্থাপনা কমিটির প্রতিনিধি এবং শিক্ষক প্রতিনিধির উপস্থিতি নিশ্চিত করতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে নির্দেশনা দিয়েছে মাউশি।
নির্দেশনায় আরো বলা হয়েছে, করোনা পরিস্থিতির কারণে জনসমাগম এড়ানোর লক্ষ্যে লটারির প্রক্রিয়া ফেসবুক লাইভে অথবা যেকোনো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সরাসরি প্রচারের ব্যবস্থা করতে হবে।
সর্বোপরি লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী নির্বাচন প্রক্রিয়া যেন কোনোভাবেই প্রভাবিত না হয় তা নিশ্চিত করতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধানদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।