মহেশখালী সংলগ্ন পশ্চিম বঙ্গোপসাগরের সোনাদিয়ার অদূরে পাথরবোঝাই লাইটারেজ জাহাজের ধাক্কায় ১০ জন মাঝিমাল্লা সহ এক ফিশিং ট্রলার ডুবির ঘটনা ঘটেছে। এতে সাগরে ভাসমান অবস্থা থেকে ৮ জেলেকে উদ্ধার করতে সক্ষম হলেও ২ জেলে এখনো নিখোঁজ রয়েছে। এসময় ফিশিং ট্রলারটিও সাগরে তলিয়ে গেছে। গত ১৮ নভেম্বর রাত ১১টায় বঙ্গোপসাগরের মহেশখালীর সোনাদিয়া পয়েন্টের পশ্চিম ৯ বাম নামক স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
উদ্ধার হওয়া জেলেরা জানান, মহেশখালী উপজেলার কুতুবজোম ইউনিয়নের সোনাদিয়া পূর্বপাড়া গ্রামের মোহাম্মদ করিমের মালিকানাধীন এফবি মায়ের দোয়া নামক ফিশিং ট্রলার নিয়ে ১০ মাঝিমাল্লা সাগরে জাল পেতে মাছ ধরছিল। এ সময় হঠাৎ মাতারবাড়ি কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্রের উন্নয়নকাজে বিভিন্ন সরঞ্জাম কিংবা পাথর সরবরাহ কাজে নিয়োজিত একটি লাইটার জাহাজ আমাদের ফিশিং ট্রলারটিকে সজোরে ধাক্কা দিলে মুহূর্তের মধ্যে ট্রলারটি ডুবে যায়। এসময় সাগরে পড়ে যাওয়া মাঝিমাল্লারা ভাসতে থাকে। প্রায় তিন ঘন্টা পর সাগরে মাছ ধরারত অপর একটি ফিশিং ট্রলার ৮ জন জেলেকে উদ্ধার করতে পারলেও ২ জেলে তলিয়ে যায়। দুর্ঘটনাকবলিত এফবি মায়ের দোয়া ফিশিং ট্রলারের মালিক মোহাম্মদ করিম জানান, বৃহস্পতিবার ভোর ৩ টার দিকে ৮ মাঝিমাল্লাকে উদ্ধার করা ফিশিং ট্রলারটি সোনাদিয়া উপকূলে ফিরে এসে দুর্ঘটনার সংবাদটি দেন। সংবাদ পেয়ে তিনি অপর একটি ফিশিং ট্রলার নিয়ে নিখোঁজ দুই জেলেকে উদ্ধারের জন্য সাগরে তল্লাশি অভিযান চালালেও তাদের খোঁজ পাননি। নিখোঁজ জেলেরা হলেন- সোনাদিয়ার পূর্বপাড়ার বাসিন্দা মৃত খুলু মিয়ার পুত্র শামসুল আলম পুতু মিয়া (৪৫) ও মোহাম্মদ মিয়ার পুত্র মোকারম (৩৫)। এদিকে ঘটনার পর রাতেই ঘাতক লাইটার জাহাজটি দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করায় জাহাজটির মালিকানার সঠিক কোন তথ্য পাওয়া যায়নি। এ ব্যাপারে ফিশিং ট্রলারের মালিক মোহাম্মদ করিম মহেশখালী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি দায়ের করেছেন। মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহফুজুর রহমান জানান, লাইটার জাহাজের ধাক্কায় ট্রলার ডুবিতে ২ জেলে নিখোঁজের সংবাদ পেয়ে নৌ বাহিনী ও কোস্ট গার্ডকে অবহিত করা হয়েছে। জেলেদের উদ্ধারের জন্য কাজ চলছে।