করোনা মহামারীর শুরু থেকে বিনামূল্যে রোগী সেবা, কোভিড-নন কোভিডে মৃত ব্যক্তির দাফন-সৎকার, অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস, কোভিড টেস্ট, ট্রিটমেন্ট ক্যাম্প, অক্সিজেন সিলিন্ডার প্রদান করা হয়। লকডাউনে প্রায় দু’লক্ষাধিক পরিবারে খাদ্য সামগ্রী ও আর্থিক অনুদান, দেশব্যাপী দু’লক্ষাধিক চারা রোপণ, রাস্তাঘাট উন্নয়নসহ মানবিক সেবা প্রদান করা হয়। গতকাল আলমগীর খানকাহ শরীফে হযরতুল আল্লামা পীর সৈয়্যদ মুহাম্মদ সাবির শাহ (মা.জি.আ) এর নিকট উক্ত কর্মকাণ্ডের প্রতিবেদন পেশ করেন গাউসিয়া কমিটি বাংলাদেশের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব পেয়ার মোহাম্মদ কমিশনারের নেতৃত্বে প্রতিনিধিদল । এসময় হুজুর কেবলার নিকট মানবিক সেবার বিস্তারিত বিবরণ উপস্থাপন করেন গাউসিয়া কমিটির কেন্দ্রীয় যুগ্ম-মহাসচিব ও করোনাকালে সেবা কর্মসূচির প্রধান সমন্বয়ক আলহাজ্ব অ্যাড. মোছাহেব উদ্দিন বখতিয়ার। হুজুর কেবলা প্রতিবেদন গ্রহণ করে বলেন, একটি অদৃশ্য অনুজীব দ্বারা মহান আল্লাহ পুরো দুনিয়াকে এক শিক্ষা দিয়েছেন, যেন মানুষ আল্লাহকে ভুলে না যায়। হুজুর কেবলা করোনাকালকে কিয়ামতের একটি ক্ষুদ্র আলামত উল্লেখ করেন। করোনায় মৃত লাশ গোসল কাফন-দাফন-সৎকারে এগিয়ে গিয়েছিল গাউসিয়া কমিটির কর্মীরা মৃত্যুকে আলিঙ্গন করে। যার শিক্ষা আমাদের মাশায়েখ হযরাতে কেরাম দিয়ে গেছেন। জামেয়া, আনজুমান ট্রাস্ট, গাউসিয়া কমিটি, দাওয়াতে খায়রসহ সিলসিলায়ে আলীয়া কাদেরিয়ার মাশায়েখ হযরাতে কেরাম সুচিত কর্মসূচিকে মানবতার সেবার জন্যে উল্লেখ করে হুজুর কেবলা সৃষ্টির সেবার মাধ্যমেই আল্লাহ ও রাসুলের (দ.) সন্তুষ্টি অর্জন সম্ভব বলে মন্তব্য করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন আনজুমান ট্রাস্টের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট আলহাজ্ব মুহাম্মদ মহসিন, পিএইচপি ফ্যামিলির চেয়ারম্যান আলহাজ্ব সুফী মুহাম্মদ মিজানুর রহমান, সেক্রেটারি জেনারেল আলহাজ্ব মুহাম্মদ আনোয়ার হোসেন, অ্যাডিশনাল জেনারেল সেক্রেটারি আলহাজ্ব মুহাম্মদ সামসুদ্দীন, অ্যাসিস্টেন্ট জেনারেল সেক্রটারি আলহাজ্ব মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন শাকের, গাউসিয়া কমিটির করোনা রোগী সেবা ও কাফন দাফন কর্মসূচির সদস্য আলহাজ্ব মুহাম্মদ আবদুল্লাহ, আলহাজ্ব মুহাম্মদ আহসান হাবীব চৌধুরী হাসান, মুহাম্মদ এরশাদ খতিবী প্রমুখ।