ভোজ্যতেলসহ ভোগ্যপণ্যের দাম বৃদ্ধি করে পরিকল্পিতভাবে দেশে অস্থিরতা সৃষ্টি করতে চায় বলে অভিযোগ করেছেন নাগরিক উদ্যোগের প্রধান উপদেষ্টা এবং চসিক সাবেক প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন। গতকাল রোববার তাঁর উত্তর কাট্টলীস্থ বাসভবনে নাগরিক উদ্যোগের সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ তিনি অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে ভোগ্যপণ্যের দাম ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে রাখতে সবসময়ই নানামূখী পদক্ষেপ গ্রহণ করে আসছে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর বাস্তবসম্মত পদক্ষেপগুলো ভন্ডুল করতে চক্রান্ত করে একটি সুবিধাবাদী চক্র। কিছু অসাধু কর্মকর্তাও এ চক্রের সাথে সরাসরি যুক্ত। সম্প্রতি তারা দেশে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ করে দিয়েছে। ফলে প্রতি কেজিতে প্রায় ১০ থেকে ১৫ টাকা করে পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। এর ফলে তারা রাতারাতি জনগনের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। এভাবে তারা সবসময় একের পর এক নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধি করে। এদের রুখে দাঁড়ানোর এখনই সময়। দেখা যাচ্ছে যে ভোক্তা অধিকারের অভিযানে দেশের বিভিন্ন স্থানে বিশেষ ব্রান্ডের ভোজ্যতেল উদ্ধার করা হচ্ছে। যারা বিএনপি-জামাতের রাজনীতির সাথে সরাসরি যুক্ত বলে আমরা জানতে পেরেছি। তাই জনগন মনে করে সরকারকে পরিকল্পিতভাবে বেকায়দায় ফেলে দেশে অস্থিরতা সৃষ্টির পাঁয়তারাতে লিপ্ত রয়েছে চক্রটি। তিনি এসব চক্রের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন। নাগরিক উদ্যোগের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হাজী মো. ইলিয়াছের সভাপতিত্বে এবং সদস্য সচিব হাজী মো. হোসেনের সঞ্চালনায় এতে উপস্থিত ছিলেন আব্দুর রহমান মিয়া, নুরুল কবির, মো. ইলিয়াছ, মো. মোরশেদ আলম, শিশির কান্তি বল, নিজাম উদ্দিন, অর্নিবাণ দাশ বাবু, মো. আলাউদ্দিন, রকিবুল আলম সাজ্জী, মো. জাহাঙ্গীর, মো. ওয়াসিম, মাহফুজ চৌধুরী, মো. মামুন, জোবায়ের হোসেন, তুষার আহমেদ, ফয়সাল ওয়াসি, মো. ফোরকান প্রমুখ। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।