মার্চ ২০২০ থেকে কতটা পথ ফেলে এলে তুমি চেয়ে দেখ,একটি সুন্দর আগামী দেখার বাসনা কি মিটবে না? পৃথিবী ভালো হবে কবে? সুললিত অরণ্যে, পার্কের জমকালো আসরে, আলভীর বৈঠক খানার মনোরঞ্জন খাবারে, সাগর সৈকতের কাদা প্যাকে ঝিনুক কুড়ানো ভালবাসায়, শত জনের মাঝে লোভাতুর লটারী টেনে বনভোজনের আনন্দ বিভরতায় কিংবা পাহাড়ের পাদপাড়ে লুকিয়ে খুনসুটি করার দিন কি আর ফিরবে না? আহারে! সৃষ্টিকর্তা দয়ার পরশ দাও, নমনীয় করো তোমার অদেখা শাস্তিটুকু। মিলনমেলা নিপতিত তোমার অসম করোনায়। মেজবান ও বিয়ের আদল মাখা কোন অনুষ্ঠানে যাওয়া হয় না তোমার মরণ ঘাতীর ভয়ে। বুকে ধুক ধুক করে, কেমনে যাই অধিক মানুষের ভীড়ে? আমরা হাসবো, খেলবো, বিয়ে অনুষ্ঠানের রঙচঙ্গা বাঁধনে, প্রীতি সমাবেশের কর্মসূচি প্রণয়নে, চট্টগ্রামের বিখ্যাত মেজবানী খেয়ে তৃপ্তির ঢেকুর নেব।
তুমি একটু দয়াবান হও না মেহেরবান। প্রকৃতির সবুজ গালিচার সবুজ লনে, শিশিরের ভেজা ঘাসে কিংবা কাশ ফুলের সমারোহ ছেড়ে আকাশের বিশাল নীলিমায় সাঁতার কাটছি। আহা কি মধুর জীবনবোধ। ক্রোধ, ঈর্ষা, প্রতিশোধ পরায়ণতা ও নিধন পথে না থেকে শান্ত নিরবধি হয়ে আছি। বয়স বাড়ছে শক্তি সামর্থ্য ক্রমাগত নুয়ে পড়ছে। মেঘে মেঘে অনেক বেলা। অর্জনের পথ তো ফুরিয়ে গেল। বাঁচবো আর কতদিন, অবশিষ্ট প্রহর অন্তত ভালো থাকতে দাও। শিক্ষাঙ্গনে যাওয়ার পথ সহজে মিলাও। আমার সন্তানরা ব্রতমুখী জীবনে শাণিত ধারার বিশ্বাসী। তুমি কর্মমুখী জীবনের উৎকন্ঠা থামাও। অনেক শিল্প প্রতিষ্ঠান এই অসম সময় কে হাতিয়ার করে অযথা হয়রানি কল্প নাটক বুনছে। ধৈর্য্য হারায়, কষ্ট বাড়ে। তাই জীবন স্বাভাবিক হওয়ার আশায় কোভিড-১৯ দূরীকরণে অন্তত জার্মান জৈব কোম্পানীর বায়োএনটেক ও যুক্তরাজ্যের ফাইজার কোম্পানীর যৌথ উদ্যোগে প্রস্তুতকৃত টিকা দ্রুত দেশে এনে সরবারহের সুব্যবস্থা করুন। আমাদের সন্তানেরা বেঁচে থাক। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সজাগ হোন।