১০০ এর অধিক রয়েল বেঙ্গল টাইগার, ৫ হাজারের অধিক সম্পূরক উদ্ভিদ, ১৯৮ প্রজাতির উভচর প্রাণী, ৫৭৯ প্রজাতির পাখি, ১২৪ প্রজাতির সরীসৃপ, ১২৫ প্রজাতির স্তন্যপায়ী প্রাণী ও ৩০ প্রজাতির চিংড়ি ছাড়াও অগণিত অসংখ্য বনজ ও জলজ সম্পদে পরিপূর্ণ আমাদের সুন্দরবন। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ঘেরা সুন্দরবন থেকে প্রতি বছর সরকারের রাজস্ব খাতে জমা হয় হাজার কোটি টাকা। স্বার্থান্বেষী কিছু মহলের কারণে আজ অনিশ্চয়তার পথে সুন্দরবন। নেই আগের মত সৌন্দর্য, বিচরণ কমে গেছে প্রাণীকূলের। ‘সুন্দরবন জাতির অমূল্য গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ’ এতে কারও কোনো সন্দেহ নেই। তাই, সুন্দরবন যেন কোনোভাবেই হারিয়ে না যায়, এটার সামান্যও যেন বিলুপ্তি না ঘটে আমাদের সবাইকে এ ব্যাপারে সচেতন হতে হবে। সুন্দরবন যে শুধু প্রাকৃতিক সৌন্দর্য কিংবা সম্পদের আধার তা শুধু নয়। ঘূর্ণিঝড়সহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগে বর্তমানে জরাজীর্ণ এই সুন্দরবনই নিজের বুক পেতে দিয়ে দেশের ১৮ কোটি মানুষকে বার বার রক্ষা করে যাচ্ছে। পরিবেশ রক্ষায় সুন্দরবনের বিকল্প আছে বলে আমার মনে হয় না। তাই, সুন্দরবনের বনজ ও জলজ সম্পদ সংরক্ষণে সরকারকে সজাগ থাকতে হবে। আগামীর প্রজন্মকে একটি পরিবেশবান্ধব দেশ উপহার দিতে সুন্দরবনকে রক্ষায় সরকারের পাশাপাশি সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।
সরকার যদি সুন্দরবন রক্ষায় কার্যকর আইন গ্রহণ ও তা বাস্তবায়ন করতে পারে তাহলে সুন্দরবনকে কেন্দ্র করে পর্যটন, বনজ ও জলজ খাতে প্রতি বছর কোটি কোটি টাকা রাজস্ব আদায় হবে। পাশাপাশি নিশ্চিত হবে একটি পরিবেশবান্ধব বাংলাদেশ।
লেখক: শিক্ষার্থী












