ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে সীতাকুণ্ডে অংশে প্রায় ২৫ কিলোমিটার জুড়ে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার সকাল থেকে এ যানজটের কারণে হাজার হাজার যাত্রী দুর্ভোগ পোহায়। অন্যদিকে সোনাইছড়ি কাশেম জুট মিল এলাকায় বিএম কনটেনার ডিপোতে মর্মান্তিক অগ্নিকান্ড ও বিস্ফোরণের ঘটনায় আহতদের উদ্ধার করে চমেক হাসপাতালে প্রেরণ করতে বেগ পেতে হয়। মহাসড়কে সংস্কারের কাজ চলায় এ অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে বলে হাইওয়ে পুলিশ জানিয়েছে।
দেখা যায়, মহাসড়কের উত্তরে বাড়বকুণ্ড থেকে শুরু করে দক্ষিনে ফৌজদারহাট পর্যন্ত প্রায় ২৫ কি.মি. এলাকায় এ যানজট সৃষ্টি হয়। এতে হাজার হাজার বাস, ট্রাক, কার, টেক্সিসহ বিভিন্ন যানবাহন আটকে পড়ায় প্রচন্ড গরমের মধ্যে অসংখ্য যাত্রী কষ্ট পেয়েছেন। সীতাকুণ্ড পৌর সদও বে্যবসায়ী জসিম বলেন, দুপুর ১টায় সীতাকুণ্ড থেকে উত্তরা বাসে করে চট্টগ্রাম যাচ্ছেন। তীব্র যানজটে আটকা পড়ে ৪০ মিনিটের জায়গায় ৪ ঘন্টায় তিনি চট্টগ্রাম পৌঁছেছেন। এসময় গরমে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েন তিনি। উপজেলার বড়দারোগারহাটের বাসিন্দা বারৈয়াঢালা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ সাইদুল ইসলাম জানান, তিনি ভাটিয়ারীতে এক রোগি দেখার উদ্দ্যেশ্য যাচ্ছিলেন। বাঁশবাড়িয়ায় এসে তীব্র যানজটে পড়েন।
এদিকে যানজটের বিষয়ে জানতে চাইলে বারআউলিয়া হাইওয়ে থানার ওসি নাজমুল হক বলেন, সড়ক ও জনপথ বিভাগ মহাসড়কের কুমিরা এলাকার দিকে কিছু সংস্কার কাজ করছিল সকাল সাতটা থেকে। আগে থেকে ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল। তবুও তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়। তবুও মহাসড়কে যানজট নিরসনে হাইওয়ে পুলিশ কাজ করছে।
সওজ ও জনপথ অধিদপ্তরের সীতাকুণ্ডের উপ-প্রকৌশলী রোকন উদ্দিন খালেদ চৌধুরী জানান, মহাসড়কের চট্টগ্রামমুখী লেনে সকাল থেকে কুমিরা এলাকায় সংষ্কার করা হচ্ছে। যানজট হওয়ার কথা না। কম গতিতে গাড়ি চলার ব্যবস্থা করা হয়েছে। কিন্তু গাড়িগুলো এলোমেলো চালানোর কারনে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। বিকাল ৫টার দিকে সংস্কার কাজ শেষ করা হয়েছে।