সীতাকুণ্ডের বিএম কন্টেনার টার্মিনালের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাকে নিছক অগ্নি দুর্ঘটনা বলে মনে করছেন না স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তিনি বলেছেন, নিশ্চয় কিছু একটা ঘটেছে, তা না হলে এতগুলো প্রাণ যায় না, এটা আমি বিশ্বাস করি। ওই অগ্নিকাণ্ডে নিহত ফায়ার ফাইটার মো. শাকিল তরফদারের জানাজায় অংশ নিয়ে গতকাল মঙ্গলবার ঢাকায় ফায়ার সার্ভিস সদর দপ্তরে সাংবাদিকের সঙ্গে কথা বলছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
তিনি বলেন, দুটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন কমিটি গঠন করা হয়েছে। কারও গাফিলতি (ছিল কি না), কিংবা স্যাবোটাজ, কিংবা উদ্দেশ্যমূলক (কি না) কিংবা কেউ করিয়েছে কি না, তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত বলতে পারছি না। খবর বিডিনিউজের।
গত শনিবার রাতে চট্টগাম শহর থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে ওই কন্টেইনার ডিপোতে আগুন লাগার পর ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা ছুটে গিয়ে কাজ শুরু করেন। কিন্তু এরপর বড় ধরনের বিস্ফোরণে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে, প্রায় দুই ডজন কন্টেইনারে রাসায়নিক রাখা ছিল ওই ডিপোতে। রাসায়নিকের কারণেই পরিস্থিতি ভয়াবহ মাত্রা পায়।
আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ফায়ার সার্ভিস সদস্যরা জঙ্গি দমন থেকে সবক্ষেত্রে সাহসিকতার পরিচয় দিয়ে আসছেন এবং যে কোনো ঘটনায় সময়ক্ষেপণ না করে গিয়ে হাজির হন। ফায়ার সার্ভিসকে সক্ষম বাহিনীতে পরিণত করা হয়েছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ক্রমাগতভাবে আরও সক্ষমতা বৃদ্ধি করব। অগ্নিনির্বাপণে যেন সবোর্চ্চ ভূমিকা রাখতে পারে। সীতাকুণ্ডের ঘটনায় কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে- সেই প্রশ্নে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আপনারা কোনোদিন দেখেছেন? প্রধানমন্ত্রী কাউকে ছাড় দিয়েছেন? উনি সংসদ সদস্যকেও ছাড় দেন না। কাজেই মেসেজ স্পষ্ট- যদি কারও সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়, যদি কারো গাফিলতি দেখা যায়, আর যদি কেউ স্যাবোটাজ করে থাকে, শাস্তি তাকে পেতেই হবে।
ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দিন বলেন, আমরা খুবই বেদনায় আছি, ফায়ার সার্ভিস ইতিহাসে এটাই সর্বোচ্চ মৃত্যু। ১২ জনকে হারিয়েছি, ৯ জনের মৃতদেহ পেয়েছি আর বাকি ৩ জনের মরদেহ ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে শনাক্ত করা হবে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ওখানে রাসায়নিক আছে, তা আমরা জানতাম না। ওখানে গার্ড ছাড়া কাউকেই পাইনি আমাদেরকে কিছু বলার জন্য। আগুনের খবর প্রথম ৯৯৯ থেকে পাওয়ার কথা জানিয়েছেন তিনি।