উখিয়ায় গরু চুরির অভিযোগে ছৈয়দ আহমদ (১৫) নামে এক কিশোরকে নির্যাতন করা হয়েছে। গত শুক্রবার সারারাত বাড়ির উঠানে গাছের সঙ্গে রশি দিয়ে তাকে বেঁধে রাখা হয়। গতকাল শনিবার সকালে তার গলায় জুতার মালা পরিয়ে কোদাল দিয়ে মাথা ন্যাড়া করে দেওয়া হয়। উখিয়ার জালিয়াপালং ইউনিয়নের পশ্চিম সোনারপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
ছৈয়দ ওই এলাকার জাকির হোসেনের ছেলে। স্থানীয় জালাল আহমদ নামের এক ব্যক্তি নির্যাতনের পর ছবি–ভিডিও মোবাইলে ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়। এ ঘটনায় অভিযুক্ত জালাল আহমদসহ ৪ জনকে আসামি করে উখিয়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন ছৈয়দ আহমদের বড় বোন জোবাইদা বেগম।
এ বিষয়ে জোবাইদা বেগম বলেন, গত শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে স্থানীয় সামশুল আলমের ছেলে জালাল আহমদ বিনা অপরাধে সৈয়দ আহমদকে সোনারপাড়া বাজার থেকে ধরে নিয়ে গরু চোরের অভিযোগ এনে ব্যাপক নির্যাতন করে। আমার ভাই জ্ঞান হারিয়ে ফেললে সকালে স্থানীয় ইউপি মেম্বার মোহাম্মদ রফিক ঘটনাস্থল থেকে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে প্রেরণ করেছে। বর্তমানে সে উখিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মোহাম্মদ রফিক বলেন, নির্যাতনের শিকার ছৈয়দ আহমদ একজন ক্ষুদ্র দোকানদার। যে গরুটি চুরির অভিযোগ করা হয় গরুটি অভিযোগকারীর বাড়িতেই ছিল। তবুও ঘটনা ঘটলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে জানিয়ে মারধর না করতে অনুরোধ করা হলেও তারা তা মানেনি। জালাল আহামদ উল্টো আমার সাথে তর্ক করে। তার সঙ্গে যোগ দেয় আরো কয়েকজন।
এ বিষয়ে জালাল আহামদ বলেন, এলাকায় যাতে আর কোন সময় গরু চুরির মতো ঘটনা না ঘটে, পুরো এলাকাবাসীকে শিক্ষা দেওয়ার জন্য এটি করা হয়েছে। উখিয়া থানার নবাগত ওসি আহাম্মদ সঞ্জুর মোরশেদ বলেন, অভিযোগ পেয়ে ঘটনা তদন্তে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তদন্তকারী টিমের প্রতিবেদন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।