দুর্গাপূজার মধ্যে কুমিল্লায় ‘কোরআন অবমাননার’ কথিত অভিযোগে মন্দিরে ভাঙচুরের পর দেশজুড়ে ছড়ানো সামপ্রদায়িক সহিংসতার ঘটনায় ফেসবুক কর্তৃপক্ষেরও দায় রয়েছে বলে মনে করেন তথ্য ও সমপ্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। ‘ভুয়া পোস্টের’ কারণে সৃষ্ট সহিংসতার বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুক কর্তৃপক্ষকে সরকার নোটিস করবে বলে গতকাল রোববার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের তিনি জানান। খবর বিডিনিউজের।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, কুমিল্লার ঘটনা সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ না পেলে তা সারা দেশে ছড়িয়ে ‘এই পরিস্থিতি’ তৈরি হত না। রংপুরের পীরগঞ্জে হিন্দুদের বাড়িঘরে হামলার ঘটনার পেছনেও একই কারণ। সোশ্যাল মিডিয়ার কারণে এ ঘটনা ঘটে, ফেসবুকের পোস্টের কারণে এ ঘটনা ঘটে। কারণ তাদের মাধ্যম ব্যবহার করে সমাজে অস্থিরতা তৈরি করার জন্য এ কাজগুলো করা হয়েছে। অবশ্যই ফেসবুক কর্তৃপক্ষকে আমরা নোটিশ করব।
তবে সামপ্রদায়িক সহিংসতার সামপ্রতিক ঘটনাগুলোর জন্য শুধু ফেসবুক পোস্টকে এককভাবে দায়ী করেন না আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। তিনি বলেন, এ ঘটনার সঙ্গে যারাই যুক্ত ছিল সবাই দায়ী। যে কোরআন শরিফ রেখে এসেছে সে দায়ী, তাকে যারা প্ররোচনা দিয়ে করিয়েছে তারা দায়ী, যারা একটি পোস্টের প্রেক্ষিতে যাচাই-বাছাই না করে সমাজে হানাহানি তৈরি করল তারাও দায়ী।
দুপুরের সচিবালয়ে সম্পাদক ফোরামের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম নিয়ন্ত্রণ করার কোনো উদ্দেশ্য সরকারের নেই। কিন্তু সবকিছুই এমনভাবে পরিচালিত হওয়া প্রয়োজন, সেটি যাতে খারাপ কাজে ব্যবহৃত না হয় এবং সেখানে যাতে স্বচ্ছতা থাকে। এখন ফেসবুকে পরিচয় গোপন করে ফেইক আইডি থেকে পোস্ট দেওয়া হয়, তাকে আর খুঁজে পাওয়া যায় না। এটির প্রতিকার দরকার আছে।
বিজ্ঞাপনের বিল পরিশোধে সরকারি দপ্তরগুলোকে আবারো তাগাদাপত্র দেওয়া হবে জানিয়ে সম্পাদক পরিষদের সদস্যদের মন্ত্রী বলেন, এ সপ্তাহেই আমরা বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও আইএমইডির সঙ্গে যোগাযোগ করব। ডিএফপির বিজ্ঞাপনের টাকা নিয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। বিভিন্ন জেলায় ২১০টি পত্রিকা প্রকাশ হয় না, সেগুলো বন্ধ করতে জেলা প্রশাসকদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছে এবং ইতিমধ্যে এ সমস্ত পত্রিকার অনেকগুলো বন্ধ হয়ে গেছে বলে জানান তিনি।












