সাবেক এমপি আউয়াল রিমান্ডে, আসামি মানিক ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত

ছেলের সামনে বাবাকে কুপিয়ে হত্যা

| শনিবার , ২২ মে, ২০২১ at ৫:৩৯ পূর্বাহ্ণ

রাজধানীর পল্লবীতে সাহিনুদ্দিন হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার লক্ষ্মীপুর-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এম এ আউয়ালকে চারদিন হেফাজতে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করবে গোয়েন্দা পুলিশ।
মহানগর হাকিম নিভানা খায়ের জেসি শুক্রবার আউয়ালের সঙ্গে আরো দুইজনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। আউয়ালের সঙ্গে যে দুইজন রিমান্ডে গেছেন তারা হলেন নূর মোহাম্মদ হাসান (১৯) এবং জহিরুল ইসলাম বাবু ওরফে লাবু (২৭)। এদের মধ্যে লাবু মামলার এজাহারভুক্ত আসামি। সাহিনুদ্দিন হত্যা মামলার আসামি মানিক গতকাল শুক্রবার ভোরে র‌্যাবের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আজাদ রহমান জানান, এম এ আউয়ালকে এদিন আদালতে হাজির করে দশ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক সৈয়দ ইফতেখার হোসেন।
অন্যদিকে আসামিদের রিমান্ড বাতিলের আবেদন করেন আইনজীবী আব্দুল বাতেন। শুনানি শেষে বিচারক রিমান্ডের আদেশ দেন। গত বৃহস্পতিবার ভোরে ভৈরবের একটি মাজার থেকে সাবেক এমপি এম এ আউয়ালকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। ইসলামী গণতান্ত্রিক পার্টির চেয়ারম্যান, তরিকত ফেডারেশনের সাবেক মহাসচিব এম এ আউয়াল হাভেলি প্রপার্টি ডেভেলপমেন্ট লিমিটেডের এমডি। খবর বিডিনিউজের।
গত ১৬ মে বিকালে পল্লবী ১২ নম্বর সেকশনের ৩১ নম্বর সড়কে সাহিনুদ্দীন (৩৪) নামের এক ব্যক্তিকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। ওই ঘটনায় নিহতের মা পল্লবী থানায় ২০ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন, সেখানে প্রধান আসামি করা হয় আউয়ালকে।
মামলায় বাদী অভিযোগ করেছেন, পল্লবীর আলীনগর এলাকায় তাদের প্রায় ১০ একর জমি জবরদখলের পাঁয়তারা করছিল আসামিরা। এর জের ধরেই তারা তার ছেলেকে হত্যা করেছে।
আসামি মানিক ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত : এদিকে সাহিনুদ্দিন হত্যা মামলার আসামি মানিক র‌্যাবের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছেন। গতকাল শুক্রবার ভোরে মিরপুরের রূপনগর ইস্টার্ন হাউজিং এলাকায় গোলাগুলি ওই ঘটনা ঘটে বলে র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈনের ভাষ্য।
পল্লবী থানার ওসি কাজী ওয়াজেদ আলী জানান, সাহিনুদ্দিনকে গত রোববার প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় তার মা আকলিমা বেগম যে ২০ জনকে আসামি করে যে মামলা করেছেন, সেখানে মানিকের নামও রয়েছে। ২৪ বছর বয়সী মানিক ওই হামলায় সরাসরি অংশ নেন এবং সাহিনুদ্দিনের শরীরের বিভিন্ন অংশে কোপান বলে অভিযোগ করা হয়েছে মামলার এজাহারে।
র‌্যাব কর্মকর্তা খন্দকার আল মঈন বলেন, ‘কয়েকজন সন্ত্রাসী অস্ত্র নিয়ে’ রূপনগর ইস্টার্ন হাউজিং এলাকায় অবস্থান করছে খবর পেয়ে শুক্রবার ভোরে সেখানে যায় র‌্যাবের একটি দল। ‘র‌্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে সন্ত্রাসীরা গুলি ছোড়ে। র‌্যাবও তখন পাল্টা গুলি চালায়। মিনিট দশেক গোলাগুলির পর সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। পরে একজনকে সেখানে পড়ে থাকতে দেখা যায়।’
গুলিবিদ্ধ মানিককে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন বলে জানান কমান্ডার মঈন। তিনি বলেন, স্থানীয়রা ওই যুবককে মানিক হিসেবে শনাক্ত করেছেন। যে দুজন সাহিনুদ্দিনকে কুপিয়ে হত্যা করেছিল, সে তাদের একজন। ভিডিওতে দেখা যায়, মানিক পায়ের দিকে কোপাচ্ছিল।

পূর্ববর্তী নিবন্ধমদ-মাদকে ডুবে মায়ের মৃত্যু ভুলতে চেয়েছিলেন প্রিন্স হ্যারি
পরবর্তী নিবন্ধপেঁয়াজের বাজার ফের অস্থির হওয়ার শঙ্কা