সরবরাহ বাড়ায় কমছে শীতকালীন সবজির দাম। গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে সব ধরনের শীতকালীন সবজির দাম কমেছে কেজিতে সর্বোচ্চ ৩০ টাকা পর্যন্ত।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, চট্টগ্রামের বাজারে দেশের উত্তরাঞ্চল ছাড়াও স্থানীয় চন্দনাইশ, পটিয়া, সাতকানিয়া, হাটহাজারী, সীতাকুণ্ড ও বাঁশখালী থেকে শীতকালীন সবজির সরবরাহ বেড়েছে। এছাড়া উত্তরাঞ্চলীয় জেলাগুলো থেকে সবজি আসা বেড়েছে। অন্যদিকে স্থিতিশীল রয়েছে ব্রয়লার মুরগি, ডিম ও মাংসের বাজার। গতকাল নগরীর কাজীর দেউড়ি ও ব্যাটারি গলি কাঁচা বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বর্তমানে শীতকালীন সবজি ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা, শিম ১২০ টাকা, বাঁধাকপি ৮০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০–৭০ টাকা, মুলা ৮০–৯০ টাকা, পটল ৯০–১০০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০–৭০ টাকা, কচুর লতি ৫০–৬০ টাকা, পেঁপে ৪০–৫০, আলু ৫৫–৬০ টাকা, বরবটি ৭০–৮০ টাকা, শসা বিক্রি হচ্ছে ৬০–৭০ টাকায়। এছাড়া দেশি টমেটো বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৪০ টাকায়। শিম কাকরল ৯০–১০০ টাকা, চাল কুমড়া প্রতিটি বিক্রি হচ্ছে ৫০–৬০ টাকা, লাউ প্রতিটি আকারভেদে বিক্রি হচ্ছে ৫০–৬০ টাকায় এবং মিষ্টি কুমড়া কাঁচা বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা এবং পাকা বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়।
কাজীর দেউড়ি বাজারের সবজি বিক্রেতা মো. আজম বলেন, শীতকালীন সবজির সরবরাহ বাড়ার কারণে দাম কমছে। তবে বাড়তির দিকে গ্রীষ্মকালীন সবজির দাম।
এদিকে মাছের বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বর্তমানে রুই মাছ বিক্রি হচ্ছে ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকায়, কাতল মাছ ৪০০ থেকে ৫০০ টাকায়, চিংড়ি মাছ ৯০০ থেকে ১০০০ টাকা, কাচকি মাছ ৪০০ থেকে ৪৫০, টেংরা মাছ ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা, কৈ মাছ ২০০ থেকে ২৫০, পাবদা মাছ ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা, পাঙ্গাস মাছ ১৮০–১৯০ টাকা, তেলাপিয়া মাছ ২৭০–২৮০ টাকা এবং শিং মাছ বিক্রি হচ্ছে ৫৫০–৬৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
অন্যদিকে বাজারে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৭৫–১৮০ টাকা, দেশি মুরগি ৫০০–৫৫০ টাকা এবং গরুর মাংস ৭৫০–৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া মুরগির ডিম ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৫৫ টাকায়।