বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, জনগণের দ্বারা নির্বাচিত নয় বলেই জনস্বার্থের কোনো দাবি বা অধিকারকে সরকার পরোয়া করে না। তবে শত বাধা ও জুলুম-নির্যাতন চালিয়েও তারা জনবিস্ফোরণ ঠেকাতে পারবে না। জনগণের ন্যায়সঙ্গত আন্দোলনকে দমাতে পারবে না। কৃতকর্মের জন্য এখন পুরোপুরি জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে সরকার, পতন অনিবার্য। পাবনার ইশ্বরদীতে ঋণের দায়ে কৃষকদের বিরুদ্ধে মামলা ও কারাগারে পাঠানোসহ নেত্রকোণার বারহাট্টায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের মাঝে বোরো ধানের বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানে ক্ষমতাসীনদের হামলার প্রতিবাদে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেন। খবর বাংলানিউজের।
তিনি বলেন, একদিকে অবৈধ সরকারের লুটেরা বাহিনী লুণ্ঠন করে বিদেশে বিপুল অর্থবিত্তের পাহাড় গড়ছে। অন্যদিকে দেশের কৃষক যারা মাথার ঘাম পায়ে ফেলে ফসল উৎপাদন করছে তাদের উপর চলছে সীমাহীন জুলুম ও অত্যাচার। কৃষকরা এখন অভাব ও দেনার দায়ে জর্জরিত। ক্ষোভ-হতাশা ও বঞ্চনায় তারা আত্মহত্যা পর্যন্ত করছে। মির্জা ফখরুল আরো বলেন, বর্তমান সরকার বিরোধীদলবিহীন রাষ্ট্রব্যবস্থা কায়েমের মাধ্যমে নিজেদের অবৈধ ক্ষমতাকে দীর্ঘকাল ভোগ করতে চায়। এ লক্ষ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও দলীয় সন্ত্রাসীদের দিয়ে বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোর শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে লাগামহীনভাবে বাধা দিচ্ছে। গণধিকৃত আওয়ামী সরকার জনবিস্ফোরণ দেখে নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষায় এখন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর পুরোপুরি নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে। অন্যায় অবিচারের বিরুদ্ধে নিঃশব্দ পরিবেশ সৃষ্টি করতেই নিশিরাতের সরকার বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোকে স্তব্ধ করতে উঠেপড়ে লেগেছে। আর সেজন্যই তারা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে কব্জায় নিয়ে বিএনপি এবং বিরোধী দলগুলোর সভা-সমাবেশসহ বিভিন্ন গণতান্ত্রিক ও মানবিক কর্মসূচির ওপর বেপরোয়া হামলা শুরু করেছে।