সন্দ্বীপের গাছুয়া–বাকখালী নৌরুটে ফেরি সার্ভিস চালুর জন্য অবকাঠামো নির্মাণের দৃশ্যমান কাজ শুরু হয়েছে। দ্বীপের গাছুয়া ইউনিয়নে আমির মোহাম্মদ ঘাটে বেড়িবাঁধ থেকে ৮ ফুট উচ্চতা আর ২০ ফুট প্রস্থের প্রায় আড়াই কিলোমিটার সাগরের দিকে সংযোগ সড়ক নির্মাণের জন্য মাটি ভরাটের কাজ চলছে।
গত বছর অক্টোবর মাসে সন্দ্বীপে ফেরি সার্ভিস চালুর জন্য অবকাঠামো পরিদর্শনে আসেন বিআইডব্লিউটিএ–টিসি ও নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাবৃন্দ। সে সময় বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান কমোডর গোলাম সাদেক জানিয়েছিলেন, গত বছরের ডিসেম্বরে অবকাঠামো নির্মাণের কাজ শুরু করা গেলে ২০২৩ সালের শীত মৌসুমে ফেরি সার্ভিস চালু করা সম্ভব হবে। তবে দুই মাস দেরিতে কাজ শুরু করলেও মার্চের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে সংযোগ সড়ক নির্মাণের কাজ দ্রুত গতিতেই এগিয়ে চলছে।
আমির মোহাম্মদ ঘাটের ইজারাদার আরমান জাবেদ জানান, প্রতিদিন ৫টি স্কেভেটর দ্বারা রাস্তা নির্মাণের জন্য মাটি ভরাটের কাজ চলছে। একই সাথে নির্মিত রাস্তাকে টেকসই করার জন্য আরসিসি গাইডওয়াল নির্মাণ করা হবে।
গাছুয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা নুর হোসেন (৭৫) দৈনিক আজাদীকে জানান, সন্দ্বীপের এক সময়ের জমজমাট এ ঘাটে কালের আবর্তনে যাত্রী চলাচল একবারে বন্ধ হয়ে গেছে বলা যায়। তবে ফেরি যদি চালু হয় তাহলে আবারও প্রাণ ফিরে পাবে এ ঘাট। বিশেষ করে উত্তর সন্দ্বীপ অর্থনৈতিকভাবে অনেকখানি এগিয়ে যাবে।
জাকের হোসেন নামের একজন জানান, গাছুয়া–বাকখালী রুটে ফেরি সার্ভিস চালু হলে সন্দ্বীপের বাউরিয়া, গাছুয়া, সন্তোষপুর, কালাপানিয়া, আমানউল্লাহ, দীর্ঘাপাড়সহ উত্তর দিকের যাত্রীদের বিশাল একটা অংশ এ ফেরি দিয়ে যাতায়াত করতে পারবে। সেক্ষেত্রে আমাদের কুমিরা–গুপ্তছড়া ঘাটের উপর অতিরিক্ত যাত্রী চাপও কিছুটা কমে যাবে।
সন্দ্বীপের সংসদ সদস্য মাহফুজুর রহমান মিতা দৈনিক আজাদীকে জানান, ফেরি সার্ভিস চালুর জন্য দুই পাশে যে অবকাঠামো দরকার সেটা নির্মাণের প্রাথমিক একটা ধাপ হলো গাছুয়া ঘাটে ২ দশমিক ৫ কিলোমিটার সংযোগ সড়ক নির্মাণের কাজ শুরু করা। সীতাকুন্ডের বাকখালী ঘাটেও একইভাবে নির্মাণ করতে হবে সংযোগ সড়ক। তবে এ বিষয়টা (বাকখালী ঘাট) নিজের এখতিয়ারে নেই বলে জানান এমপি মিতা। এছাড়া পর্যাপ্ত বাজেট বরাদ্দ হলে সংযোগ সড়ক নির্মাণসহ আনুষঙ্গিক কাজ দ্রুত সম্পন্ন করা সহজ হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।