২০২৩–২০২৪ অর্থ–বছরে সঞ্চয়পত্র বিক্রি করে ১৮ হাজার কোটি টাকা ঋণ নেবে সরকার। এটি চলতি ২০২২–২৩ অর্থ–বছরের চেয়ে ৪৮ দশমিক ৫৭ শতাংশ বা ১৭ হাজার কোটি টাকা কম। চলতি অর্থ–বছরে রয়েছে ৩৫ হাজার কোটি টাকা।
গতকাল জাতীয় সংসদে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল ২০২৩–২৪ অর্থ–বছরের বাজেট উপস্থাপন করেন। এ সময় সঞ্চয়পত্র বিক্রি থেকে ১৮ হাজার কোটি টাকা সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রার কথা উল্লেখ করেন তিনি। খবর বাংলানিউজের।
জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তরের সর্বশেষ হালনাগাদ তথ্যমতে, চলতি ২০২২–২০২৩ অর্থবছরের প্রথম দশ (জুলাই–এপ্রিল) মাসে গ্রাহক যে পরিমাণ সঞ্চয়পত্র কিনেছেন, তার চেয়ে বেশি ভাঙিয়েছেন। এ ১০ মাসে ৬৮ হাজার ৩৮ কোটি ৭৩ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র বিক্রি হয়েছে। বিপরীতে মুনাফা ও মূল বাবদ পরিশোধ করা হয়েছে ৭১ হাজার ৬১৮ কোটি ৫২ লাখ টাকা। অর্থাৎ বিক্রির চেয়ে তিন হাজার ৫৮০ কোটি টাকার বেশি ভাঙিয়েছেন গ্রাহক।
খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মূলত সঞ্চয়পত্রে নানা শর্ত জুড়ে দেওয়ায় বিক্রি তলানিতে নেমেছে। এসব শর্তের মধ্যে রয়েছে চলতি অর্থবছর সঞ্চয়পত্রে পাঁচলাখ টাকার বেশি বিনিয়োগে রিটার্নের সনদ বাধ্যতামূলক করা, ১৫ লাখ টাকার বেশি বিনিয়োগের ক্ষেত্রে সব রকম সঞ্চয়পত্রের সুদহার দুই শতাংশ কমানো, সঞ্চয়পত্রের বিনিয়োগ সীমা কমিয়ে আনা, মুনাফার ওপর উৎসে করের হার পাঁচ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১০ শতাংশ করা ইত্যাদি।
প্রস্তাবিত এ বাজেটের আকার ধরা হয়েছে সাত লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা। বিশাল এ বাজেটের ঘাটতি ধরা হয়েছে দুই লাখ ৫৭ হাজার ৮৮৫ কোটি টাকা। প্রস্তাবিত এ বাজেটে অনুদান ছাড়া ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়াবে দুই লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা। এটি মোট জিডিপির পাঁচ দশমিক দুই শতাংশ।