শিক্ষা মন্ত্রী দিপু মণি এক ব্রিফিংএ জানান এ বছর করোনা মহামারীর জন্য এইচ.এস.সি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে না, তবে মূল্যায়ন করা হবে জে.এস.সি ও এস.এস.সি পরীক্ষার মোট গড় ফলাফলের ভিত্তিতে। কিন্তু এখানেই শেষ নয় রয়ে গেছে বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষার মত একটি বড় চ্যালেঞ্জ।দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বমোট সীট সংখ্যা ৪৬ হাজার। আর প্রত্যেক মেধাবী শিক্ষার্থী চায় একটি সীট জায়গা করে নিতে সে জন্য অসম প্রতিযোগিতায় নেমে পড়ে প্রায় সকল শিক্ষার্থী। বর্তমানে করোনা মহামারী সময়ে এই ভর্তি পরীক্ষা নেওয়াটা একটা বড় চ্যালেঞ্জ। সেজন্য চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় জন্য ১৭ অক্টোবর সন্ধ্যায় উপাচার্যদের সংগঠন ‘বিশ্ববিদ্যালয় পরিষদের’ ভার্চুয়াল এক সভায় ভর্তি পরীক্ষা অনলাইনে নেওয়ার প্রস্তাব দিয়ে থাকেন।কিন্তু দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে ভর্তি হওয়া প্রায় প্রতিটি মেধাবী শিক্ষার্থী গ্রামের দরিদ্র অঞ্চল থেকে উঠে এসে, তাদের নেই উন্নত ডিভাইস এবং সেখানে পৌঁছায়নি ভালো ইন্টারনেট সেবা। সেইজন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা কেন্দ্র বিভাগভিত্তিক করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। তাতে করে সকল মেধাবী শিক্ষার্থীর সঠিক মেধার বিচার করা হবে।
বর্তমানে দেশে ৪৬টি সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয় থাকলেও ৩৯টি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে গুচ্ছ করে একটি ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হোক। এর আগে গত বছরের ফেব্রুয়ারিতেই সিদ্ধান্ত হয়েছিল চারটি স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাকা, জাহাঙ্গীরনগর, রাজশাহী ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়) ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়া বাকি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে তিনটি গুচ্ছ করে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়া হবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মত প্রত্যেকটি বিশ্ববিদ্যালয় আলাদাভাবে গুচ্ছপদ্ধতিতেএবারের পরীক্ষা কেন্দ্র বিভাগভিত্তিক করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হোক। প্রত্যেক ছাত্র-ছাত্রীকে স্বাস্থ্যসচেতনায় আরো কঠোর হতে হবে আর পরীক্ষা কেন্দ্রতে মাস্ক বাধ্যতামূলক এবং হ্যান্ডস্যানিটাইজের ব্যবস্থা করতে হবে।
মোঃ তোফায়েল আহমেদ, বি.বি.এ,ব্যবস্থাপনা বিভাগ,ঢাকা কলেজ।