শেখ মুজিবের ৭ মার্চের ভাষণ অবশ্যই ইতিহাস : ফখরুল

| রবিবার , ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ at ১০:৪৫ পূর্বাহ্ণ

একাত্তরের ৭ মার্চ শেখ মুজিবুর রহমানের ভাষণ ‘অবশ্যই ইতিহাস’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। গতকাল শনিবার দুপুরে রাজধানীর গুলশানের একটি হোটেলে গণমাধ্যমের সঙ্গে মতবিনিময়কালে সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে তিনি এই মন্তব্য করেন। এ সময় আগামী ১ মার্চ স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আমন্ত্রণ জানানোর কথাও জানান তিনি। মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা শুধু ৭ মার্চ নয়, আমরা ২ মার্চ, ৩ মার্চ পালন করছি। আমরা ২ মার্চ কেন পালন করছি? সেদিন প্রথম স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করেছিলেন আসম আবদুর রব, তখনকার ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের নেতা। আমরা সেটাও পালন করছি, দ্যাট ইজ এ পার্ট অব হিস্ট্রি। ৩ তারিখ কী? স্বাধীনতার ইশতেহার পাঠ করেছেন শাহজাহান সিরাজ সাহেব। এটাকে অস্বীকার করবো কী করে? আজকে তার রাজনৈতিক ধারা ভিন্ন, রাজনৈতিক দল ভিন্ন হতে পারে কিন্তু দ্যাট ইজ রিয়েলিটি। খবর বাংলানিউজের।
তিনি বলেন, ঠিক একইভাবে যে ভাষণ শেখ মুজিবুর রহমানের ‘অবশ্যই ইতিহাস’। অবশ্যই তার সম্মান, তার মর্যাদা তাকে দিতে হবে। তার অর্থ এই নয় যে, ৭ মার্চ আপনি যখন পালন করবেন তখন এই কথা বলবেন ৭ মার্চের ডাকেই দেশ স্বাধীন হয়ে গেছে। আলোচনার মধ্যে সব আসবে, ইতিহাস থেকে আসবে, ইতিহাসের সব বই থেকে আসবে।
মির্জা ফখরুল স্পষ্ট করে বলেন, কাউকেই খাটো করার কোনো ধরনের ইচ্ছা আমাদের নেই। আমরা বিশ্বাস করি সেটা উচিতও না। বিশেষ করে স্বাধীনতার ব্যাপারে প্রকৃত সত্য সবই উৎঘাটিত করতে হবে। এজন্য জোর দিয়ে বলছি যে, আমরাও ওই সময়ে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছি। প্রতিটি মুহূর্ত, প্রতিটি সময় আমাদের সামনে জ্বলজ্বল হয়ে আছে। ৭ মার্চে কি বলেছিলেন, ২ মার্চে কী বলেছিলেন, ৩ মার্চে কী বলেছিলেন, ৯ মার্চ মাওলানা ভাসানী কী বলেছিলেন পল্টন ময়দানে, এগুলো ইতিহাস। একইসঙ্গে মাহবুবউল্লাহ কী বলেছিলেন সেটাও একটা ইতিহাস।
তিনি বলেন, ২৬ মার্চ জিয়াউর রহমানের যে ঘোষণা জাতিকে ঝাঁপিয়ে পড়তে অনুপ্রাণিত করেছিল এবং সমগ্র জাতি যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল এটাও ইতিহাস। সুতরাং এগুলো কোনোটাই অস্বীকার করা যাবে না।
ডিজিটাল আইনের কঠোর সমালোচনা করে মির্জা ফখরুল বলেন, আজকে যে ডিজিটাল আইন তৈরি করা হয়েছে আপনারা সাংবাদিকরা তার সবচেয়ে বেশি ভুক্তভোগী। আপনাদের প্রায় ৪শ জন বিভিন্নভাবে ভুক্তভোগী, কতজনকে জেলখাটতে হয়েছে। আমার প্রশ্ন এই জায়গায় যে, এর জন্য তো আমরা স্বাধীনতা যুদ্ধ করিনি, এজন্য আমরা স্বাধীনতা চাইনি।
প্রধানমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ : এদিকে আগামী ১ মার্চ স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে বিএনপি। গতকাল সন্ধ্যা ৭টায় ধানমণ্ডিতে আওয়ামী সভানেত্রীর কার্যালয়ে গিয়ে আমন্ত্রণপত্র পৌঁছে দিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা বিজন কান্তি সরকার ও কেন্দ্রীয় কমিটির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এ বি এম রিয়াজুল কবির কাওছারের হাতে আমন্ত্রণপত্রটি দেওয়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন তারা।

পূর্ববর্তী নিবন্ধআন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে পুলিশ ‘হত্যাচেষ্টার’ মামলা
পরবর্তী নিবন্ধআমদানি নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়নি ৩ বছরেও