শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে আগামী বাজেটে বাজেট বাড়ানো দরকার বলে মনে করি, শিক্ষাখাতে বাজেট বাড়ানো রাষ্ট্রের জন্য দেশ গঠনে বিনিয়োগ বলে মনে করি আর স্বাস্থ্য খাতে বিনিয়োগ রাষ্ট্রের মানুষের অধিকার বলে মনে করি, করোনা ভাইরাসের কারণে ২০২০ সালের মার্চ মাস থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে, কোটি কোটি টাকা খরচ করে বড় বড় দালান তৈরী করা হয়েছে, তা এখন কোন কাজে আসছে না, করোনা ভাইরাসের কারণে শিক্ষা ব্যবস্থা অচল অবস্থায় আছে, সরকার চেষ্টা চালিয়া যাচ্ছে অনলাইনে অথবা টিভি মাধ্যমে লেখাপড়া চালিয়া নেওয়া যাই কিনা? তাতে খুব একটা সুফল মিলছে না, গ্রামীণ পর্যায়ে নেটওয়ার্কের যেমন সমস্যা তেমন সব ছাত্রছাত্রীর কাছে স্মার্টফোন নাই, তেমনি ওয়াই ফাই নাই, তাই এ-ই অধমের অভিমত করোনা ভাইরাস একটা অদৃশ্যশক্তি কখন যাই তা সঠিক ভাবে কেউ বলতে পারবে না, তাই বলে আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা আমরা ধ্বংস করে দিতে পারি না, তাই আগামী দিনের দেশের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে বাংলাদেশের সমস্ত স্কুল কলেজকে স্বাস্থ্যসম্মত করে তুলতে হবে, তেমনি পুরো বাংলাদেশকে অললাইনের আওতায় এনে এবং ছাত্রছাত্রীর প্রয়োজনে শুধু লেখাপড়ার জন্য স্মাটফোন, প্রয়োজনে সরকারিভাবে গরীব অসহায় ছাত্রছাত্রীর মাঝে কিস্তির মাধ্যমে বিতরণ করতে হবে এবং পুরো দেশকে কিভাবে শিক্ষার আওতায় আনা যাই সেটা চিন্তা করতে হবে বলে আমি মনে করি। সে জন্য জাতি গঠনে উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষা করার জন্য শিক্ষাখাতে আগামীতে বাজেট বাড়ানোর এ-ই অধমের প্রস্তাব রইল। তেমনি স্বাস্থ্যসেবা মানুষের মৌলিক অধিকার, করোনার প্রথম ঢেউ আমরা কাটিয়ে উঠেছি বর্তমানে ভারতে অক্সিজেনের অভাবে অনেক লোক মারা যাচ্ছে, এটা আমাদের জন্য অসংগত, করোনার প্রথম ঢেউতে আমরা চট্টগ্রামে এক শিল্পপতি ভাই এর কাছ থেকে অক্সিজেন খুলে আরেক জনকে দিতে হয়েছে বলে শুনেছি, তাই আধুনিক বিশ্বে নতুন নতুন রোগের আবির্ভাব দেখা যাচ্ছে। তাই আমাদের আরো যেমন বাড়াতে হবে হাসপাতাল, ডাক্তার, নার্স চিকিৎসার আধুনিক যন্ত্রপাতি তেমনি দক্ষ জনবল তৈরি করতে হবে, সে জন্য শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে আগামী বাজেটে শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে বাজেট বাড়ানোর প্রস্তাব করছি।
মোঃ জাকির হোসেন, সাবেক সহসভাপতি নুপুর মার্কেট বণিক সমিতি।