শিক্ষামন্ত্রীর পদত্যাগ চেয়ে আইনি নোটিস

| শুক্রবার , ৩ মে, ২০২৪ at ৬:৪২ পূর্বাহ্ণ

চলমান দাবদাহের মধ্যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠদানের সময় পরিবর্তন ও শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের পদত্যাগ চেয়ে আইনি নোটিস পাঠিয়েছেন এক আইনজীবী। গতকাল বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী খন্দকার হাসান শাহরিয়ার রেজিস্ট্রি ডাকযোগে এ নোটিস পাঠিয়েছেন। শিক্ষামন্ত্রীর পাশাপাশি মন্ত্রিপরিষদ সচিব, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব এবং কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিবকে এ নোটিস পাঠান আইনজীবী খন্দকার হাসান শাহরিয়ার। খবর বিডিনিউজের।

তিনি বলেন, শিক্ষামন্ত্রী কথায় কথায় উন্নত দেশগুলোর উদাহরণ দেন। কিন্তু উন্নত দেশগুলোর মত অবস্থা তো আমাদের নেই। সেসব দেশে প্রাতিষ্ঠানিক সুযোগসুবিধা আমাদের চেয়ে উন্নত। অনেক দেশে শিক্ষার্থীরা পড়া অবস্থায় আয় করতে পারে। তিনি (শিক্ষামন্ত্রী) জনমনে যে ক্ষোভ আছে তা নিরসনে তথা জনদুর্ভোগ অনুধাবন করতে ব্যর্থ হয়েছেন। সেই দায়ভার কাঁধে নিয়ে তার পদত্যাগ করা উচিত। সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সিলেবাস কমিয়ে মে থেকে জুলাই পর্যন্ত অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রম চালুর ব্যবস্থা নিতে বলেছেন হাসান শাহরিয়ার। তার পরামর্শ, যদি একান্তই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলতে হয়, তাহলে মে থেকে জুলাই পর্যন্ত ক্লাসের সময় সকালে নিতে বলেছেন, যখন তাপমাত্রা কম থাকে।

নোটিসের বিষয়ে জানতে চাইলে শিক্ষামন্ত্রী নওফেল বলেন, আমি এখনও এ ধরনের কোনো নোটিস পাইনি। যে কারণে কোনো মন্তব্য করতে পারছি না। ঈদের ছুটির পর টানা তাপপ্রবাহের মধ্যে গত ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত স্কুলকলেজে ছুটি বাড়িয়েছিল সরকার। অসহনীয় গরমের কারণে অভিভাবকদের উদ্বেগের মধ্যে এরপর গত রোববার শ্রেণিকক্ষে ফেরে শিক্ষার্থীরা। ওইদিনই বিভিন্ন জেলায় শিক্ষকশিক্ষার্থীদের অসুস্থ হয়ে পড়ার খবর আসে। পরে তাপমাত্রা অনুযায়ী দৈনিক ভিত্তিতে জেলাওয়ারি স্কুল বন্ধের নির্দেশনা দিয়ে আসছিল শিক্ষা মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী, মঙ্গলবার ২৭ জেলায় স্কুল বন্ধ থাকলেও দেশের বাকি অংশে ক্লাস চলেছে। এরপর স্কুল বন্ধ রাখা নিয়ে আসে হাই কোর্টের আদেশ। সোমবার উচ্চ আদালত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখতে আদেশ দেয়। বুধবার মে দিবস হওয়ায় সরকারি ছুটিতে স্কুল বন্ধ ছিল। বৃহস্পতিবার প্রাথমিক স্কুল বন্ধ রাখা হয়েছিল আর মাধ্যমিক স্কুলের বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের নিদের্শনা না থাকায় স্কুলগুলো নিজেদের মত করে সিদ্ধান্ত নেয়। এমন প্রেক্ষাপটের মধ্যে এ নোটিস দেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী হাসান শাহরিয়ার।

লিগ্যাল নোটিস পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে শিক্ষামন্ত্রীকে পদত্যাগ করার অনুরোধ করা হয়েছে। একইসঙ্গে সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সিলেবাস কমিয়ে মে থেকে জুলাই মাস পর্যন্ত অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রম চালুর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলা হয়েছে। একান্তই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলতে হলে ক্লাসের সময় সকাল ৬টা থেকে সকাল ৮টা এবং ডে শিফট সকাল সাড়ে ৮টা থেকে সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত খোলা রাখার কথা বলা হয়েছে। অন্যথায় এ আইনজীবী সুপ্রিম কোর্টে রিট দায়েরসহ প্রয়োজনীয় আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে নোটিসে জানানো হয়েছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধভাইস চেয়ারম্যান পদে শেখর উড়োজাহাজ, ওমর পেলেন তালা প্রতীক
পরবর্তী নিবন্ধকাভার্ড ভ্যানের কড়া ব্রেক দুর্ঘটনায় কয়েকটি গাড়ি