চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালের অন্যতম দুইটি অঙ্গ প্রতিষ্ঠান ‘চমাশিহা শামসুন নাহার খান নার্সিং কলেজ’ ও ‘চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতাল নার্সিং ইনস্টিটিউট’। গতকাল রোববার নার্সিং কলেজের ২০১৭-২০১৮ শিক্ষাবর্ষের বিএসসি ইন নার্সিং কোর্সের শিক্ষার্থীদের বিদায় এবং কলেজের ২০২১-২০২২ শিক্ষাবর্ষের ও নার্সিং ইনস্টিটিউটে অধ্যয়নরত ছাত্র-ছাত্রীদের ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রাম নার্সিং অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়। কার্যনির্বাহী কমিটির প্রেসিডেন্ট প্রফেসর এম এ তাহের খানের সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দৈনিক আজাদীর চিফ রিপোর্টার হাসান আকবর।
অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন কার্যনির্বাহী কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট সৈয়দ মোহাম্মদ মোরশেদ হোসেন, জেনারেল সেক্রেটারি মোহাম্মদ রেজাউল করিম আজাদ, জয়েন্ট জেনারেল সেক্রেটারি ডা. কামরুন নাহার দস্তগীর, জয়েন্ট ট্রেজারার এস এম কুতুব উদ্দিন, হাসপাতালের পরিচালক (প্রশাসন) ডা. মো. নূরুল হক, উপ-পরিচালক (প্রশাসন) মোহাম্মদ মোশাররফ হোসাইন, উপ-পরিচালক (মেডিকেল অ্যাফেয়ার্স) ডা. এ কে এম আশরাফুল করিম, চমাশিহা শামসুন নাহার খান নার্সিং কলেজের প্রিন্সিপাল স্মৃতি রানী ঘোষ ও চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতাল নার্সিং ইনস্টিটিউটের প্রিন্সিপাল ঝিনু রানী দাশ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে হাসান আকবর বলেন, চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতাল একটি অনন্য প্রতিষ্ঠান। করোনাকালে এ হাসপাতাল স্বাস্থ্যসেবায় যে অবদান রেখেছে তা দেশবাসী আজীবন স্মরণ রাখবে। আমি নিজেও করোনায় আক্রান্ত হয়ে এই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলাম। এখানে চিকিৎসাকালীন হাসপাতালের ডাক্তার ও নার্সদের কাছ থেকে যে আন্তরিক ব্যবহার, চিকিৎসা ও সেবা পেয়েছি তা ভুলার নয়।
এজন্য সংশ্লিষ্ট সকল ডাক্তার, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের নিকট আমি ও আমার পরিবার আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞ। তিনি নার্সদের উদ্দেশে বলেন, আপনারা সকলের সাথে সদয় আচরণ করবেন। সদয় আচরণ ও আন্তরিক সেবার মাধ্যমে একজন রোগীকে সুস্থ করে তুলতে পারলে এর প্রতিদান দুনিয়াতে যেমন মিলবে, তেমনি পাবেন পরকালেও। অনুষ্ঠানে নার্সিং কলেজ ও নার্সিং ইনস্টিটিউটের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও ছাত্র-ছাত্রীবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বিএসসি ইন নার্সিং কোর্সের ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী চুমকি লোদ ও তহিদুল ইসলাম। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।