‘লাইন পরিষ্কারে’ ফটিকছড়ির রাবার বাগানগুলোতে আগুন

কীটপতঙ্গ ও বন্যপ্রাণীর ক্ষতি

ফটিকছড়ি প্রতিনিধি | বুধবার , ১ মার্চ, ২০২৩ at ১০:১৭ পূর্বাহ্ণ

ফটিকছড়ির কাঞ্চন নগর, রাঙ্গামাটিয়া, দাঁতমারা ও তারাখো রাবার বাগানে আগুনে পুড়ছে ঝরে পড়া রাবার গাছের পাতা। এই আগুন বাগান কর্তৃপক্ষ ও দুর্বৃত্তদের দেয়া। বিভিন্ন টিলা ও সড়কের লাইন পরিষ্কার করতে আগুন দেয়ার কথা স্বীকার করেন রাবার বাগান কর্তৃপক্ষ। তবে এই অগ্নিকাণ্ডের ফলে বিভিন্ন প্রজাতির বন্যপ্রাণী ও কীটপতঙ্গের ক্ষতি হচ্ছে।

স্থানীয় সূত্র জানায়, ফটিকছড়ির বিভিন্ন চা বাগান এবং রিজার্ভ ফরেস্ট এলাকা সংলগ্ন ফটিকছড়ির দাঁতমারা, তারাখো, কাঞ্চন নগর ও রাঙ্গামাটিয়া রাবার বাগান এলাকা। এখানে বিভিন্ন ধরনের পাখি, সরীসৃপ, মায়া হরিণ, মুখপোড়া হনুমান, বিরল প্রজাতির কাঠবিড়ালি, বন্য শূকর, বানর, খরগোশ, সজারু, বন মোরগ, বেজি, শিয়াল, টিয়া, ময়না, ঘুঘু, শালিক, বক, বাবুইসহ বিভিন্ন প্রজাতির প্রাণীর বসবাস।

রাবার বাগান কর্তৃপক্ষ প্রতি বছর বাগান সম্প্রসারণ করতে এবং টিলা পরিষ্কার করতে আগুন ধরিয়ে দেয়। আবার এক শ্রেণীর স্থানীয় দুর্বৃত্ত এসে পাতার স্তূপে আগুন লাগায়। আগুনে বনে থাকা পোকামাকড়, কীটপতঙ্গ পুড়ে যায়। এছাড়া মারা পড়ে মাটির কেঁচো ও অণুজীব। নষ্ট হয়ে যায় পশুপাখির আবাসস্থল। স্থায়ী বাসস্থান হারিয়ে বন্যপ্রাণীরা লোকালয়ে এসে হত্যার শিকার হয়। প্রতি বছর ফাল্গুনচৈত্র মাসে আগুন লাগার ঘটনা ঘটে।

সরেজমিনে কাঞ্চন নগর রাবার বাগানের কারবারটিলা ও ডলু রাবার বাগান এলাকায় দেখা গেছে, সারা সারি আগুন লাগার ঘটনা। এ সময় আগুন প্রতিরোধ করতে রাবার বাগান কর্তৃপক্ষের কাউকে দেখা যায়নি।

কাঞ্চন নগর রাবার বাগানের ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ আমান উল্লাহ আমান বলেন, অনেক স্থানে লাইন পরিষ্কার করতে আমরা নিজেরাই আগুন লাগাই। আবার আমরাই প্রতিরোধ করি। বন্যপ্রাণী ও কীটপতঙ্গের ক্ষতির বিষয়টি এড়িয়ে তিনি বলেন, অনেক সময় দুর্বৃত্তরা আগুন লাগিয়ে দেয় বলে দাবি করেন তিনি।

এ ব্যাপারে ফটিকছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সাব্বির রহমান সানি বলেন, বন্যপ্রাণীর জীববৈচিত্র্য রক্ষা করা সকলের দায়িত্ব। কোনো রাবার বাগান কর্তৃপক্ষ ইচ্ছে করে আগুন লাগালে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধহালিশহর ও ইপিজেডে করদাতা সুরক্ষা পরিষদের গণসংযোগ
পরবর্তী নিবন্ধ‘এ বার ঘুমাতে যাও’ বর্ষসেরা ফুটবলার হয়ে কাকে বার্তা মেসির