লাইনে দাঁড়িয়েও অনেকে ফিরেছেন খালি হাতে

ডিলারদের ৩ হাজার কেজি মালামাল সরবরাহের দাবি ।। টিসিবির পণ্য

আজাদী প্রতিবেদন | রবিবার , ১১ জুলাই, ২০২১ at ৫:০০ পূর্বাহ্ণ

টিসিবির একজন ডিলারকে প্রতিদিন বিক্রির জন্য দেয়া হয় ২১শ কেজি মালামাল। এর মধ্যে রয়েছে ৭শ কেজি চিনি, ৪শ কেজি ডাল এবং ১ হাজার লিটার তেল। সুষ্ঠুভাবে বণ্টন করলে প্রতি ট্রাক থেকে এসব পণ্য ৫শ জন ক্রেতার মাঝে বিক্রি করা যায়।
কিন্তু প্রায় দেখা যায়, দীর্ঘক্ষণ লাইনে থেকেও অনেক মানুষ পাচ্ছেন না টিসিবির পণ্য। যদি পণ্যের সরবরাহ বাড়িয়ে প্রতি ট্রাকে ৩ হাজার কেজি মালামাল দেওয়া হয়, তাহলে কেউ খালি হাতে ফেরত যাবে না বলে জানিয়েছেন টিসিবির ডিলাররা। বর্তমানে নগরীর ২২টি পয়েন্টে প্রতিদিন ট্রাকে করে টিসিবির পণ্য বিক্রি করেন ডিলাররা। এসব পণ্য বাজারমূল্য থেকে প্রতি কেজিতে ১৩ থেকে ৪৫ টাকা পর্যন্ত কম দামে পাওয়া যাচ্ছে। এদিকে লকডাউনের কারণে অস্থিরতা বিরাজ করছে নিত্যপণ্যের বাজারে। এতে নিম্ন আয়ের মানুষের পাশাপাশি মধ্যবিত্ত পরিবারগুলোও পড়েছে চরম বিপাকে। অবশ্য সাধারণ মানুষের কথা বিবেচনা করেই ৫ জুলাই থেকে চট্টগ্রামসহ সারাদেশে টিসিবির মাধ্যমে নিত্যপণ্য সামগ্রী বিক্রি শুরু করে সরকার।
এ ব্যাপারে টিসিবি ডিলার সমিতি চট্টগ্রামের সভাপতি মো. কামরুল ইসলাম রাশেদ আজাদীকে বলেন, আমরা এখন প্রতিদিন ২১শ কেজি মালামাল বিক্রির জন্য পেয়ে থাকি। যদি একজন ক্রেতাকে ২ লিটার করে তেল দিই, তাহলে ৫শ জনের কাছে পণ্য বিক্রি করতে পারবো। এরপরেও আরো অনেক ক্রেতাকে লাইনে দাঁড়িয়ে পণ্য না পেয়ে খালি হাতে ফিরে যেতে হচ্ছে। তিনি ডিলারদের প্রতিদিন ৩ হাজার কেজি মালামাল দেওয়ার দাবি জানান।
এদিকে গতকাল নগরীর বেশ কয়েকটি এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, টিসিবির ট্রাক থেকে কম মূল্যে সয়াবিন তেল, ডাল এবং চিনি কিনতে মানুষের দীর্ঘ লাইন। এসব ট্রাকে একজন ক্রেতা প্রতি কেজি চিনি ৫৫ টাকায়, মসুর ডাল ৫৫ টাকায় এবং প্রতি লিটার সয়াবিন তেল ১০০ টাকায় ক্রয় করছেন।
টিসিবি চট্টগ্রাম অফিস জানায়, একজন ক্রেতা টিসিবির ট্রাক থেকে ২ কেজি চিনি, ২ কেজি ডাল এবং ১ লিটার থেকে ৫ লিটার পর্যন্ত সয়াবিন তেল ক্রয় করতে পারবেন।
টিসিবি চট্টগ্রাম আঞ্চলিক অফিসের প্রধান জামাল আহমেদ আজাদীকে বলেন, লকডাউনে সাধারণ মানুষের কথা বিবেচনা করে আমরা নগরীর ২০টি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে ট্রাকে করে ন্যায্যমূল্যে পণ্য বিক্রি শুরু করেছিলাম। পরে আরো ২টি ট্রাক বাড়িয়েছি। গ্রাহকদের চাহিদার কথা বিবেচনা করে ডিলারদের প্রতিটি পণ্য বাড়িয়ে দিয়েছি। বর্তমানে একজন ডিলারকে প্রতিদিন ২১শ কেজি মালামাল দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি উপজেলা এবং জেলা পর্যায়েও (কক্সবাজার এবং তিন পার্বত্য জেলা) ২৩টি ট্রাকে করে পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে। এই কার্যক্রম ২৯ জুলাই পর্যন্ত চলবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধ১০ লাখ টাকার ‘কালো মানিক’
পরবর্তী নিবন্ধবাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন রাষ্ট্রদূত হচ্ছেন পিটার ডি হাস