রেস্তোরাঁ কর্মীর নামে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দেখিয়ে ১২ কোটি টাকা ঋণ

এস আলমসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা

আজাদী প্রতিবেদন | মঙ্গলবার , ২৬ নভেম্বর, ২০২৪ at ৫:৪৮ পূর্বাহ্ণ

ফটিকছড়ির এক রেস্তারাঁকর্মীর নামে রয়েছে এক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। আবার সেই প্রতিষ্ঠানের নামে ব্যাংক থেকে তিনি ১২ কোটি টাকা ঋণও নিয়েছেন। অথচ তিনি এর কিছু জানেনই না । ঋণের টাকা চেয়ে যখন তার বিরুদ্ধে লিগ্যাল নোটিশ ইস্যু হয় তখনই তিনি বিষয়টি জেনেছেন। এ বিষয়ে পরে ব্যাংকের সাথে যোগাযোগ করে জানতে চাইলে তাকে গালিগালাজ করা হয়। এমনকি হুমকি ধমকিও দেওয়া হয়।

জালজালিয়াতি করে প্রতারণার এ ঘটনায় এস আলম গ্রুপের মালিক মো. সাইফুল আলম মাসুদ, তার সাবেক ব্যক্তিগত সহকারী এসএম নজরুল ইসলাম, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক চকবাজার শাখার সাবেক ও বর্তমান ৫ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করেছেন রেস্তোরাঁকর্মী মো. মুজিবুর রহমান। গতকাল চট্টগ্রামের মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কাজী শরীফুল ইসলামের আদালতে তিনি মামলাটি দায়ের করেন। আদালত মামলাটি তদন্তের জন্য পুলিশের অপরাধ তদন্ত সিআইডিকে নির্দেশ দেন। মামলার অপর আসামিরা হলেন, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক চকবাজার শাখার সাবেক জোনাল হেড ওয়াহিদুর রহমান, অফিসার মো. হুমায়ুন কবির, প্রিমিয়াম অফিসার ফাস্ট মো. শাহাব উদ্দিন, জুনিয়র অফিসার মো. নজরুল ইসলাম ও সাবেক ম্যানেজার মো. ওসমান।

বাদীর আইনজীবী মাহমুদুল হক দৈনিক আজাদীকে মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আদালত মামলাটি তদন্তের জন্য সিআইডিকে নির্দেশ দিয়েছেন। মামলার আরজিতে বলা হয়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ২০১৪ সালের ২৫ নভেম্বর বাদীসহ দুজনের (অপরজন হলেন ওয়াসিয়া আক্তার নুপুর নামের এক নারী) নামে জয়েন্ট স্টক কোম্পানীতে ‘নীলিমা নীল এগ্রো লিমিটেড’ নামে একটি প্রতিষ্ঠান খুলেন। পরে সেই প্রতিষ্ঠানের নামে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক চকবাজার শাখায় হিসাব চালু করেন। উক্ত হিসাবের নামে ১২ কোটি টাকার ঋণ অনুমোদন, উক্ত ঋণের টাকা নিজেরা আত্মসাৎ করে বাদীর বিরুদ্ধে কয়েকটি চেক ডিজঅনার মামলা দায়ের করেন। এর আগে দেওয়া হয় লিগ্যাল নোটিশ। মামলা দায়ের পরবর্তী বাদীর বিরুদ্ধে সমন ইস্যু হয় জানিয়ে মামলার আরজিতে আরো বলা হয়, মিথ্যা হিসাব খোলা, লেনলেন ও ঋণ প্রদান করার বিষয়সহ মিথ্যা মামলা দায়েরের বিষয়ে আসামিদের কাছ থেকে জানতে চাইলে আসামিরা বাদীকে গালিগালাজ করেন। এছাড়া বাড়াবাড়ি করলে হুমকি ধমকিও দেওয়া হয়।

মামলার আরজিতে বলা হয়, ফাস্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক চকবাজার শাখায় বাদীর নামে কোন হিসাব নেই বা ছিল না। ওয়াসিকা আক্তার নুপুর নামের কাউকে তিনি ছিনেনও না। নীলিমা নীল এগ্রো লিমিটিডে নামের কোন প্রতিষ্ঠানের সাথে তিনি সম্পৃক্তও নন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধসংস্কার নিয়ে সরকারের সঙ্গে বিএনপির বিরোধ নেই : তারেক রহমান
পরবর্তী নিবন্ধকোনো পত্রিকা বন্ধে চাপ প্রয়োগ সহ্য করা হবে না : তথ্য উপদেষ্টা