সবাই হাঁটছে যে যার পথে
হেমন্ত এসে চলে যায় অন্য কোনো খানে
প্রতিদিন অসংখ্য গবাদির মৃত্যু ঘটে গেরস্থের ঘরে
একটা ছবি প্রতিদিন আঁকা হয়ে যায়
শিল্পীর নিপুণ ক্যানভাসে।
প্রতিদিন চাল ধোয়া হয় –
আমার মায়ের নরম হাতে
শ্রান্ত দেহ কিষাণ ফিরে আসে কিষাণীর আঁচলে,
শরীরের কোন না কোন অংশে প্রতিদিন
রক্ত ঝরছে কারখানা শ্রমিকের
প্রতিদিন গর্ভবতী হয় অসংখ্য ললনা
অন্ন দাও বলে ফুটপাতের ক্ষুধার্ত টোকাই –
বিকিয়ে দেয় শরীরের শেষ সঞ্চয়টুকু,
লালপেড়ে শাড়ি পরে সুন্দরী যুবতীর লাশ
এগিয়ে যায় শ্মশান ঘাটে !
প্রতিদিন আমকাঠের চিতার লেলিহান শিখায়
উচ্চারিত হয় স্বাভাবিক মৃত্যুর দাবি,
শুধু আমার রক্তে কোনো উত্তাপ নেই
আমার কোনো শিখা নেই জ্বালাবার
ক্ষুধা নেই বসন্ত নেই
শীতল আঁচল নেই –নেই প্রতিবাদ
ভীষণ অন্ধকার দেখি নিকট দূরত্বে,
দু‘হাতের বুড়ো আঙুলে তাই
মাথার দুপাশ চেপে ধরে বসে আছি
রেঁস্তোরার নিস্তব্ধ টেবিলে!