নিরপেক্ষ দেশগুলোকে রাশিয়ার বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে যুক্তরাষ্ট্র বাধ্য করছে বলে অভিযোগ তুলে এর সপক্ষে বাংলাদেশকে উদাহরণ হিসেবে দেখাল মস্কো।
রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভার এক বিবৃতিতে এই উদাহরণ হিসেবে কয়েকমাস আগে রুশ জাহাজকে বাংলাদেশের বন্দর থেকে ফিরিয়ে দেওয়ার কথা বলেন। রাশিয়া থেকে পণ্য নিয়ে আসা উরসা মেজর জাহাজতে মোংলা বন্দরে ভিড়তে না দিতে যুক্তরাষ্ট্রের তৎপরতা সম্পূর্ণ আইন–বহির্ভূত বলে দাবি করেন তিনি। বাংলাদেশ সরকার বরাবরই বলে আসছে, সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে বৈরিতা নয়– এই নীতি ধরেই চলছে তারা। খবর বিডিনিউজের। ইউক্রেইনে রাশিয়ার অভিযানের পর তার নিন্দা জানানোর পাশাপাশি মস্কোর উপর যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলোর নিষেধাজ্ঞার অবসানও চাইছে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র হচ্ছে রাশিয়ার সহায়তায়; সেই কেন্দ্রের জন্য নানা সরঞ্জাম নিয়ে দুই মাস আগে আসতে গিয়ে ফিরে যেতে হয় উরসা মেজরকে। নভেম্বরে ওই জাহাজটি রাশিয়া ছাড়ার পর ঢাকায় মার্কিন দূতাবাস বাংলাদেশ সরকারকে জানায়, ‘স্পার্টা–৩’ নামের যে জাহাজের উপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা আছে, সেই জাহাজের নাম ও রঙ বদলে উরসা মেজর হিসেবে চলছে। নিষেধাজ্ঞার অধীনে থাকা এই জাহাজ যেন বাংলাদেশের বন্দরে ভিড়তে দেওয় না হয়। তখন রুশ জাহাজটিকে সমুদ্রসীমায় প্রবেশ করতে দিতে অস্বীকৃতি জানায় বাংলাদেশ সরকার। এর মধ্যে রুশ দূতাবাস তৎপরতা চালালেও অবস্থানে অটল থাকে সরকার। পরে ভারতের বন্দর ব্যবহারের মাধ্যমে বিকল্প জাহাজে করে রূপপুর পারমাণিক কেন্দ্রের সেসব সরঞ্জাম আনার চেষ্টা করা হলেও তা শেষ পর্যন্ত হয়নি।