নগরীর চান্দগাঁও থানাধীন শংকর দেওয়ানজীহাট এলাকার ওসমান গণি হুজুরের বিল্ডিংয়ের তৃতীয় তলার একটি ফ্ল্যাটে জমে থাকা গ্যাস বিস্ফোরণে নারী–শিশুসহ ১১ জন দগ্ধ হয়েছেন। এদের মধ্যে অন্তত ৪ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১ টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন– নাজির মিয়া (৪০), তার শরীরে ৩৫ শতাংশ ও শ্বাসনালী পুড়ে যায়। রাসেল (১২), তার শরীরের ৩০ শতাংশ ও শ্বাসনালী পুড়ে যায়। শামসুদ্দিন (৩৫), তার শরীরের ১২ শতাংশ পুড়ে যায়। মোনাসাত (১২), তার শরীরের ৩০ শতাংশ ও শ্বাসনালী পুড়ে যায়। হোসাইন (৬), তার শরীরের ৮০ শতাংশ ও শ্বাসনালী পুড়ে যায়। রিমন (১৮), তার শরীরের ৬৫ শতাংশ ও শ্বাসনালী পুড়ে যায়। শাম্মী (১৯), তার শরীরের ১০ শতাংশ ও শ্বাসনালী পুড়ে যায়। দিপালী (৩০), তার শরীরের ২৫ শতাংশ পুড়ে যায়। রেনুচি (৪), তার শরীরের ৩ শতাংশ ও শ্বাসনালী পুড়ে যায়। অনচিং (৫), তার শরীরের ১০ শতাংশ ও শ্বাসনালী পুড়ে যায় এবং সুমিনা (২৫), তার শরীরের ২ শতাংশ পুড়ে যায়। বিস্ফোরণের খবর পেয়ে কালুরঘাট ফায়ার সার্ভিসের টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নির্বাপণ করে ও আহতদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে পাঠায়।
চমেক হাসপাতালের বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগের চিকিৎসকরা জানান, দগ্ধদের মধ্যে ৮ জনের শ্বাসনালী পুড়ে যায়। এদের মধ্যে চারজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। গতকাল সরেজমিনে বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগে গিয়ে দেখা যায়, দগ্ধদের মধ্যে ৩ জন প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে চলে যায়। এছাড়া বাকি ৮ জনের মধ্যে ৫ জনকে ঢাকায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে উন্নত চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এছাড়া বাকি রোগীরাও নিজেদের জিম্মায় চমেক হাসপাতাল থেকে চলে যান।
জানতে চাইলে কালুরঘাট ফায়ার স্টেশনের সিনিয়র স্টেশন কর্মকর্তা মোহাম্মদ বাহার উদ্দিন দৈনিক আজাদীকে বলেন, বিস্ফোরণের খবর পাওয়ার সাথে সাথে আমরা ঘটনাস্থলে ছুটে যাই। কর্ণফুলী গ্যাসের লোকজন দিয়ে গ্যাস লাইনে কোনো লিকেজ ছিল না চেক করিয়েছি। কর্ণফুলী গ্যাস আমাদের নিশ্চিত করেছে–গ্যাসের কোনো লিকেজ ছিল না। তবে ধারণা করা হচ্ছে–চুলার গ্যাস পুরোপুরি বন্ধ না করার কারণে রুমে গ্যাস জমে যায়, এ সময় কেউ বৈদ্যুতিক সুইচ জ্বালালে বিস্ফোরণের সূত্রপাত হয়। বিস্ফোরণে ফ্লোরের তিনটি ফ্ল্যাটের দরজা–জানালা ও দেয়াল ধসে পড়ে। এমনকি পার্শ্ববর্তী একটি ভবনের দুইজন শিশুও এতে আহত হয়।