‘এই রুপালি গিটার ফেলে/ একদিন চলে যাবো দূরে, বহুদূরে/ সেদিন চোখের অশ্রু তুমি রেখো/ গোপন করে/ মনে রেখো তুমি/ কত রাত, কত দিন/
শুনিয়েছি গান আমি ক্লান্তিবিহীন/ অধরে তোমার ফোটাতে হাসি/ চলে গেছি আমি
সুর থেকে কত সুরে।’ হ্যাঁ তিনি এখন সুর থেকে অনেকদূরে। চার বছর আগে অসংখ্য ভক্তদের কাঁদিয়ে আজকের এদিনে রুপালি গিটার ফেলে গেছেন ‘এবি বস’ খ্যাত আইয়ুব বাচ্চু। রুপালি গিটার ফেলে চলে গেছেন সবার প্রিয় এবি বস, কিন্তু আজও তিনি প্রাণবন্ত হয়ে আছেন ভক্তদের হৃদয়ে। আছেন রোজকার চর্চায়। কয়েকটি প্রজন্মকে গানের বন্ধনে আবদ্ধ করে রেখেছিলেন আইয়ুব বাচ্চু। ১৯৬২ সালের ১৬ আগস্ট চট্টগ্রামে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। জনপ্রিয় ছিলেন একাধারে গায়ক, গীতিকার, সুরকার, সংগীত পরিচালক হিসেবে। তার হাত ধরে সমৃদ্ধ হয়েছে বাংলা ব্যান্ডজগৎ, এদেশের চলচ্চিত্রও পেয়েছে অনেক শ্রোতাপ্রিয় গান।
১৯৭৮ সালে ‘ফিলিংস’ ব্যান্ডের মাধ্যমে গানের ভুবনে পথচলা শুরু করেন আইয়ুব বাচ্চু। এরপর ১০ বছর সোলস ব্যান্ডের লিড গিটারিস্ট হিসেবে কাজ করেন। নব্বইয়ের দশকে যাত্রা শুরু হয় ‘ব্যান্ডদল এলআরবি’র। এর দলনেতা ছিলেন তিনি। দীর্ঘ কয়েক দশকে অসংখ্য কালজয়ী, জনপ্রিয় গান উপহার দিয়েছেন আইয়ুব বাচ্চু। ‘চলো বদলে যাই,’ ‘হাসতে দেখো,’ ‘এখন অনেক রাত,’ ‘রুপালি গিটার’, ‘মেয়ে’ ‘আমি কষ্ট পেতে ভালোবাসি,’ ‘সুখের এ পৃথিবী,’ ‘ফেরারি মন,’ ‘উড়াল দেবো আকাশে,’ ‘বাংলাদেশ,’ ‘আমি বারো মাস তোমায় ভালোবাসি,’ ‘এক আকাশের তারা,’ ‘সেই তারা ভরা রাতে,’ ‘কবিতা,’ ‘তিন পুরুষ,’ ‘যেওনা চলে বন্ধু,’ ‘বেলা শেষে ফিরে এসে,’ ‘আমি তো প্রেমে পড়িনি’সহ অসংখ্য জনপ্রিয় গানের স্রষ্টা তিনি। এ উপলক্ষে নানা কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।
চাটগাঁইয়্যা নওজোয়ান : আইয়ুব বাচ্চুর ৪র্থ ও সংগঠনের কার্যকরী সদস্য সাফাত ইব্রাহীমের ১ম মৃত্যুবার্ষিকীতে স্মরণানুষ্ঠান, স্বেচ্ছায় রক্তদান, বিনামূল্যে রক্তের গ্রুপ নির্ণয় কর্মসূচি চাট্গাঁইয়া নওজোয়ানের উদ্যোগে আজ বিকাল ৫টায়, মোমিন রোডস্থ প্রিয়া কমিউনিটি সেন্টারে অনুষ্টিত হবে। এতে প্রধান অতিথি থাকবেন মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন। সংগঠনের সভাপতি জামাল আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক আহিল সিরাজ অনুষ্ঠানে সকলকে উপস্থিত থাকার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন।