আপিল বিভাগের রায়ে তিন আসামির সাজা কমায় হতাশ নিহত অধ্যক্ষ গোপাল কৃষ্ণ মুহুরীর পরিবার। গতকাল মঙ্গলবার আপিলের রায়ের পর গোপাল কৃষ্ণ মুহুরীর স্ত্রী উমা মুহুরী সরাসরি কোনো মন্তব্য করতে চাননি। তার প্রবাসী মেয়ে সুদীপ্তা মুহুরী রায়ে হতাশা প্রকাশ করে ইন্টারনেটে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লিখেছেন- ‘কী ঠাণ্ডা মাথার হত্যা ছিল সেটা!’। প্রায় দুই দশক আগে চট্টগ্রামের নাজিরহাট কলেজের অধ্যক্ষ গোপাল কৃষ্ণ মুহুরী হত্যা মামলায় জজ আদালতে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত তিন আসামির সাজা কমিয়ে আমৃত্যু কারাদণ্ড দিয়েছে আপিল বিভাগ। খবর বিডিনিউজের।
রায়ে সর্বোচ্চ আদালত আপিল খারিজের পাশাপাশি সাজা সংশোধন করে আসামিদের স্বাভাবিক মৃত্যু পর্যন্ত, অর্থাৎ আমৃত্যু কারাদণ্ড দেয়। এই তিন আসামি হলেন-তসলিম উদ্দীন ওরফে মন্টু, মোহাম্মদ আজম ও আলমগীর কবির ওরফে বাইট্টা আলমগীর। তিনজনই জামায়াত-শিবিরের কর্মী। এই রায় ঘোষণার পর মামলার বাদী উমা মুহুরীর প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তিনি এক কথায় হতাশ বলা ছাড়া আর কিছু বলতে চাননি। চট্টগ্রাম শহরে নিজ বাসায় বসে রায়ের খবর শুনেছেন তিনি। এর আগে তিনি সাংবাদিকদের বলেছিলেন, হাই কোর্টে আসামিদের মৃত্যুদণ্ড বহাল ছিল। এখন আদালত সাজা কমিয়ে দিয়েছেন। আমার কিছু বলার নেই। যার এরকম হয়েছে, হারিয়েছে তারাই জানে কষ্ট কী। আমি ছেলে মেয়েদের কী জবাব দেব?
প্রবাসে থাকা সুদীপ্তা মুহুরী সোমা ফেইসবুকে লিখেছেন, বাবাকে হত্যার আপিল বিভাগের রায়!!! স্যার ডেকে, সকালে ঘুম থেকে তুলে, ওরা চেয়ারে বসিয়ে বাবার মাথায় শুধু দুটা গুলি করেছিল। কী ঠাণ্ডা মাথার হত্যা ছিল সেটা! ওই স্ট্যাটাসে বিভিন্নজনের দেওয়া মন্তব্যের উত্তরও দিয়েছেন তিনি। সেখানে এক জায়গায় সুদীপ্তা বলেন, তারপরও…ভাল কিছু কি আমরা পেতে পারতাম না?