রামমোহন রায় ও আজকের সমাজ

কানাই দাশ | মঙ্গলবার , ৭ জুন, ২০২২ at ১১:০৯ পূর্বাহ্ণ


রবীন্দ্রনাথের কাছে এক অটোগ্রাফ শিকারীর প্রদত্ত এক গুচ্ছ প্রশ্নের মধ্যে প্রথম প্রশ্নটিই ছিল “Who is the hero of your life?” নির্দ্বিধায় রবীন্দ্রনাথের উত্তর ছিল Ram Mohan Roy। রামমোহনকে তিনি অভিহিত করেছিলেন “ভারত পথিক” হিসাবে। কেন তিনি রামমোহনকে ভারত পথিক বলেছিলেন আর রামমোহন কোন পথের পথিক ছিলেন? সে পথ হল ইতিহাসের প্রথম প্রহর থেকে সহজাত ঔৎসুক্যে জীবন ও জগতের আনন্দ যজ্ঞের পানে, মুক্তির পানে মানুষের অন্তহীন চলার পথ। মহাবিশ্বে মহাকালে পরিব্যাপ্ত সর্বমানবের পান্থশালায় সে পথ গিয়ে থেমেছে। উপনিষদের ঋষি হাজার হাজার বছর পূর্বে যে ‘একমেবাদ্বিতীয়ম্‌’ এর সাধনার কথা বলেছেন, পবিত্র ইসলামে যেটাকে ‘তৌহিদী’ পথ বলা হচ্ছে রামমোহন ছিলেন সেই পথের প্রথম সাহসী পথিক। তিনি ভারত পথিক কারণ রবীন্দ্রনাথ বলেছেন প্রাচীন ভারত সেই ‘একের’ সাধনার কথা বলেছে। সে দিনের ভারতের সেই বিশ্ব মানবের মহাঐক্যতত্ত্বের, সর্বধর্ম সমন্বয়ের মহৎ বাণী অষ্টাদশ শতাব্দীর দ্বিতীয়ার্ধের ইংরেজ অধিকৃত ভারতের আত্মবিস্মৃত প্রদোষের অন্ধকারে, অর্থহীন আচার সর্বস্বতার জটাজালে, অগৌরবের কালিমায় প্রায় হারিয়ে গিয়েছিল। এ বছর বাংলার আধুনিক যুগের ‘ভগীরথ’ বিশ্বমানবের ঐক্যবোধের দুর্গম পথের আমৃত্যু নিরলস পথিক রামমোহন রায়ের ২৫০তম জন্মবার্ষিকী।

অশিক্ষা, অভাব, জড়তা, অন্ধবিশ্বাস আর কুসংস্কারে আচ্ছন্ন সদ্য ইংরেজ অধিকৃত এই দেশে এক সম্ভ্রান্ত ব্রাহ্মণ পরিবারে ১৭৭২ সালে জন্মগ্রহণ করেন কালোত্তীর্ণ ভাবুক, আলোর অভিসারী, প্রচলিত ধর্মাচার ও বিশ্বাস বিরোধী বাংলার রেঁনেসা তথা নবজাগরণের পথিকৃত রামমোহন রায়। সেদিন অদৃষ্টবাদ, ইহজীবন বিমুখ, প্রথার নিপীড়নে ও জাতিভেদে জীর্ণ ও স্থবির এক সমাজে মানুষের মনে না ছিল কোনো আশা, না ছিল কোন উদ্যম ও পরিবর্তনের ভরসা। ব্রাহ্মণ্য ধর্ম ও বিশেষ করে শংকরাচার্যের প্রভাবে মায়াবাদী আধ্যাত্মিক প্রতিবন্ধকতায় সমাজ স্থবির হয়ে পড়ে। অন্যদিকে মধ্যপ্রাচ্যে যে ইসলাম একদিন প্রগতির ভূমিকা নিয়েছিল, ইউরোপে জ্ঞানের আলো জ্বালিয়েছিল, ভারতের মাটিতে এসে তা সে ভূমিকা নিতে পারেনি। ইউরোপের মাটিতে পৌরাণিক খ্রীষ্টীয় মতবাদ ধর্মীয় অনুশাসনের মাধ্যমে মানুষের বুদ্ধির চর্চা ও আবেগকে কয়েক শতাব্দী ব্যাপী রুদ্ধ করে রাখার পর সেই তমসা ও নিশ্চলতা থেকে ইউরোপ অবশ্য ইতোপূর্বে বেরিয়ে আসে। দীর্ঘ সংগ্রাম, মানবিক সৃজনশীলতা ও বৈজ্ঞানিক উদ্ভাবনার ফলে আলোকভিসারী যুক্তি ও বুদ্ধির মুক্তিতে উদ্ভাসিত ইউরোপের ষোড়শ ও সপ্তদশ শতাব্দীর নবজাগরণ বা রেনেঁসা সেদিন মানব জাতিকে নবজীবনের পথ দেখায়। সংস্কার মুক্ত, এক উদার, মানবিক ও সেকুলার সমাজের পথে নিয়ে যায় ইউরোপকে।

সেই ইহজাগতিক নবজাগরণের ফলে অর্থলোলুপ বনিকের পাশাপাশি ইংল্যান্ড থেকে সে সময় এ দেশে আসেন কিছু আলোকিত রেঁনেসা স্নাত নবীন ইংরেজের দল। তাঁদের প্রভাবে এ দেশে ইংরেজি শিক্ষিত উচ্চ বিত্তের কিছু সন্তান বিজ্ঞানাশ্রয়ী উদার নৈতিক চিন্তা, যুক্তিবাদ, ব্যক্তিস্বাতন্ত্র্যবাদে উদ্বুদ্ধ হন। নবাগত সেই ভাবধারায় উনিশ শতকের প্রথমার্ধে এদেশে গড়ে উঠে একটি নবীন প্রজন্ম-যাঁদের কাছে বিদেশী শাসন থেকে মুক্তির চাইতেও প্রচলিত ধর্মান্ধতা, প্রথার নিপীড়ন, অজ্ঞানতা থেকে সামাজিক মুক্তিই তখন প্রধান হয়ে দেখা দেয়। পাশ্চাত্য শিক্ষা বিস্তারের মাধ্যমে সামাজিক আলোকায়ন জরুরি বলে তাঁদের কাছে প্রতিভাত হয়। বহুমুখী প্রতিভা, অসাধারণ প্রজ্ঞা ও অনমনীয় ব্যক্তিত্বের অধিকারী বহুভাষাবিদ রামমোহন রায় ছিলেন এ নবযাত্রী দলের প্রথম ও প্রধানতম ব্যক্তি। মানুষের জন্মগত অধিকার ও ব্যক্তি স্বাধীনতায় তিনি গভীরভাবে বিশ্বাসী ছিলেন।

পাশ্চাত্য পন্ডিত ও ভারতে রেঁনেসা ভাবান্দোলনের অগ্রদূত স্যার উইলিয়াম জোন্স এর উদ্যোগে ১৭৮৪ সালে কলকাতায় প্রতিষ্ঠিত ‘এশিয়াটিক সোসাইটি’ বাংলা তথা এদেশের চিন্তা জগতে এক যুগান্তকারী ভূমিকা পালন করে। তাঁর সূচিত নব চিন্তাধারায় প্রভাবিত এদেশের প্রথম পুরুষ ছিলেন রামমোহন রায়। তিনি আরবী, ফার্সি ও সংস্কৃত ভাষায় ছিলেন সুপন্ডিত। তিনি সারাজীবন চেষ্টা করেছেন যুক্তিবিমুখ অন্ধভক্তি থেকে দেশের মানুষকে যুক্তি প্রসূত শ্রদ্ধা ও সুবিবেচনার পথে নিয়ে যেতে। তিনি হিন্দুধর্মের সতীদাহ প্রথা, বহু বিবাহ, পৌত্তলিকতা এসবের প্রতিবাদে কলম ধরেন এবং কুখ্যাত সতীদাহ প্রথা বন্ধ করতে সমর্থ হন। কিন্তু শুধু আইন নয় তিনি চেয়েছিলেন সামাজিক সচেতনতা সৃষ্টি করে এসব অপপ্রথা ও পদ্ধতির বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে। ১৮১৫ সালে তাঁর অনুরাগীদের নিয়ে গড়ে তোলেন ‘আত্মীয় সভা’। এর আগেই রামমোহন হিন্দু, ইসলাম ও খৃষ্ট ধর্ম সহ প্রচলিত ধর্মমত ও বিশ্বাসগুলোকে নিয়ে গভীরভাবে অধ্যয়ন ও ভাবনা চিন্তা শুরু করেন। কেননা তিনি বুঝেছিলেন সর্বজনীন মানবিক কল্যাণে সর্বসাধারণকে একত্রিত করার ক্ষেত্রে বড় বাধা ছিল সেদিনের প্রচলিত ধর্ম ও ধর্মান্ধ সমাজ। এই চিন্তা থেকে মাত্র ৩০ বছর বয়সে ১৮০৩ সালে তিনি প্রকাশ করেন আরবী ভাষায় লিখিত ভূমিকা সম্বলিত ফার্সি ভাষায় রচিত তাঁর মত ও ভাবনার প্রোজ্জল ম্যানিফেষ্টো ‘তুহফাৎ উল মুহ্‌ওয়াহ্‌হিদিন’ অর্থাৎ ‘একেশ্বরবাদীদের প্রতি উপহার’। পারসিক, আরব্য, বৈদান্তিক ও পাশ্চাত্য এই চারটি ভাবধারা ক্রমানুসারে তাঁর জীবন ও ভাবনাকে বিকশিত করেছে। আরবী, বাংলা ও ইংরেজিতে এসব বিষয়ে তিনি প্রচুর লিখেছেন। এছাড়াও তিনি বাংলা গদ্য রীতির প্রথম প্রবর্তক।

‘তুহ্‌ফাৎ-উল-মুওয়াহ্‌হিদীন’ বইটির শেষে লেখকের আরেকটি বইয়ের উল্লেখ আছে- যেটির নাম ‘মানজারাৎ-উল-আদিয়ান’ বা “বিবিধ ধর্ম বিষয়ে আলোচনা”। এই গুরুত্বপূর্ণ বইটি এখন আর পাওয়া যায় না। মৌলিক চিন্তা, প্রখর যুক্তিপরায়নতা, ধর্মীয় গোঁড়ামি বা অন্ধ আচার ও বিশ্বাসের বিরুদ্ধে দৃঢ় বক্তব্যের জন্য ‘তুহ্‌ফাৎ-উল মুহ্‌ওয়াহিদ্দীন’ সে যুগে মনীষীদের দৃষ্টি কেড়েছে। তাঁর হৃদয়োৎসারিত ও মানবতামুখী একেশ্বরবাদী ধর্মাদর্শের বাণী এই ক্ষুদ্র গ্রন্থে জোরালোভাবে তুলে ধরা হয়েছে। তাঁর মতে একেশ্বরবাদ বা তৌহিদি ভাবনা মানুষের সহজাত। সৃষ্টির উৎস এক পরম পিতা। উপনিষদে বহুল উচ্চারিত একমেবাদ্বিতীয়মের ধারণা পরবর্তীকালে হিন্দু সমাজে পৌত্তলিকতার উদ্ভবে গৌন হয়ে পড়ে। পবিত্র কোরান সেই এক বা অদ্বিতীয় স্রষ্টার ধারণা দৃঢ়ভাবে সামনে নিয়ে এসেছে এবং পৌত্তলিকতাকে সরাসরি বর্জন করেছে। পবিত্র কোরআনের বেশ কিছু উদ্ধৃতিসহ তুহফাৎ লেখার সময় রামমোহনের উপর তিনটি প্রভাব কাজ করেছে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন। প্রথমত কোরানের একেশ্বরবাদের প্রভাব, দ্বিতীয়তঃ ইসলামের আনুগত্য বিরোধী যুক্তিবাদী আন্দোলন, বিশেষত অষ্টম শতাব্দীর মুতাজিলা পন্থী ও দ্বাদশ শতাব্দীর মুহ্‌ওয়াহ্‌হিদ্দিন আন্দোলন যে নামে তিনি আলোচ্য পুস্তকের নামকরণ করেছেন, তৃতীয়ত সুফি ও মানবতাবাদী ফারসি কবিদের বিশেষ করে রুমি ও হাফিজের প্রভাব। তিনি মনে করতেন “impartial and just enquiry” এর মাধ্যমেই মানুষ হয়ে উঠবে free from useless restraints of religions। তিনি মনে করতেন সুফীরা মানবতাবাদী হলেও যুক্তিবাদী নন। কিন্তু যুক্তি বা জ্ঞানের শিখা ইসলাম বহুদিন আগলে রেখেছিল। রোমান সাম্রাজ্যের পতনের পর গ্রীক মনীষীদের জ্ঞান ও মনীষা পরবর্তী চারশো বছর ধরে আরবে সুরক্ষিত ছিল এবং এর প্রভাবে পরবর্তীতে শুধু ইউরোপে নয় কি অপূর্ব সৃজনশীলতায় আল কিন্দি, আল ফারাবি, ইবনে সিনা, ইবন রুশদ, ইবন খালদুন প্রমুখ আরব মনীষী মুক্তবুদ্ধি ও যুক্তিবাদী জ্ঞান চর্চা করেছেন। তুহফাৎ এ দুটি সিদ্ধান্তে উপসংহার টানা হয়েছে। প্রথমত, কোন গুরু বা অবতারের পথ নির্দেশ ছাড়াই অভিজ্ঞতার মাধ্যমে আপন অন্তরের আলোয় মানুষ স্রষ্টাকে চিনে নেবে। দ্বিতীয়ত, স্রষ্টা শ্রেষ্ঠ জীব হিসাবে মানুষকে যে বিচারশক্তি দিয়েছেন তা দিয়েই মানুষ শেষ পর্যন্ত সঠিক পথ বেছে নেবে। রামমোহন ছিলেন মানবতাবাদী ও প্রকৃত ধর্মমুখী। An appeal to the christian people গ্রন্থের মাধ্যমে তিনি খৃষ্টধর্মের পাদ্রীদের অনাচার ও অলৌকিক চিন্তার সমালোচনা করেন। তিনি গোঁড়া হিন্দু, মুসলিম ও খৃষ্টানদের দ্বারা বার বার আক্রান্ত হয়েছেন। নিজ অনুসারীদের নিয়ে গড়ে তুূেলন আচার সর্বস্বতা ও পৌত্তলিকতামুক্ত ব্রাহ্ম সমাজ ও পৃথক ধর্মমত। অতি সংক্ষেপে বলতে হয় যে, সেই ধর্মমত বা ব্রাহ্মধর্মের প্রধান তিনটি বৈশিষ্ট্য হলো একেশ্বরবাদে বিশ্বাস, অবতারবাদে অবিশ্বাস এবং পৌত্তলিকতা বর্জন। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরসহ উনবিংশ ও বিংশ শতকের বাংলার অনেক মনীষী সেই ধর্ম ও মতের অনুসারী ছিলেন। আজ থেকে ২৫০ বছর আগে অজ্ঞানতা ও ধর্মান্ধ পরিবেশে তাঁর মত অসম সাহসী চিন্তাবিদ, ধর্ম ও সমাজ সংস্কারক, সাংবাদিক, গ্রন্থকার প্রকৃত অর্থেই আধুনিক মানুষ রামমোহনের আবির্ভাব যেন এক বিস্ময়কর ঘটনা। তিনি শুধু ভারতে নয় ইংল্যান্ড, ফ্রান্স স্পেন সহ ইউরোপে তাঁর এই আধুনিক চিন্তার জন্য সুপরিচিত হয়ে উঠেন। মিল্টনের এ্যারিওপেজেটিকার মত সেই যুগে তিনি মত প্রকাশের স্বাধীনতার সপক্ষে কলম ধরেন এবং নিজেই বাংলা ও ফার্সিতে দুটি পত্রিকা প্রকাশ করে এদেশে সাংবাদিকতারও সূচনা করেন।

প্রকৃত পক্ষে রামমোহন উদার ও মানবিক সমাজ বিনির্মাণে কতটুকু সফল হয়েছিলেন তার চাইতেও আশ্চর্য ঘটনা হল সবিস্ময় মুগ্ধতায় প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যের সুধী সমাজ তাঁর দিকে তাকিয়ে ভাবছিলেন যে ‘সময়ের বিবেচনায়’ কি অপরিমেয় সাহসী মহাপুরুষ তিনি ছিলেন, যিনি প্রবল বৈরী সমাজ, প্রচলিত সংস্কার ও ধর্ম সংকীর্ণতার উর্ধ্বে উঠে অকুন্ঠচিত্তে মানবতার জয়গান গেয়েছেন। ইংরেজ কবি কোলরিজ তাঁকে Luther of Brahmanism বলে অভিহিত করেছেন। সেই অষ্টাদশ শতাব্দীতেও তাঁর বিশ্ব দৃষ্টিভঙ্গী ছিল ইউরোপীয় এনলাইটেনমেন্টের জ্ঞান স্পৃহায়, মানুষ ও তাঁর ব্যক্তি স্বাধীনতার ভাবনায় আলোকিত। এক জীবনে তিনি দুই শতাব্দীকে ধারণ করেছেন কেননা তাঁর জন্মের ২৫০ বছর পরেও আমরা সামাজিক ও ধর্মীয় আচার সর্বস্বতা, নিজ ধর্মের শ্রেষ্ঠত্বের ধারণা প্রসূত সাম্প্রদায়িক ঘৃণা ও বিভেদের অন্ধকারে তথা রবীন্দ্রনাথ কথিত ‘ধর্মতন্ত্রের’ বৃত্তে ঘুরপাক খাচ্ছি। সেই প্রেক্ষিতে আজকের প্রজন্মের কাছে প্রায় অচেনা রামমোহন রায় এখনো প্রাসঙ্গিক এক অনতিক্রম্য আধুনিক মানব মনের মূর্ত প্রতীক।

২৫০তম জন্ম বার্ষিকীতে ভারত পথিক রামমোহন রায়কে শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি। তাঁর অনুগামী রবীন্দ্রনাথের কথায় বলতে চাই : “হে চিরকালের মানুষ, হে সকল মানুষের মানুষ / পরিত্রাণ করো- ভেদ চিহ্নের তিলক পরা / সংকীর্ণতার ঔদ্ধত্য থেকে।”

লেখক : অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক; প্রাবন্ধিক, কলাম লেখক

পূর্ববর্তী নিবন্ধডাক্তারের কথায় রোগী অর্ধেক ভালো হয় : প্রধানমন্ত্রী
পরবর্তী নিবন্ধমো. আইয়ুব আলী