দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি এস এম আবুল কালাম বলেছেন, বাদল সাহেবের আমলে আমরা বোয়ালখালীবাসী অনেক শান্তিতে ছিলাম। এখন সেই শান্তি নেই। রাজনীতির নামে এখন চাঁদাবাজি আর টেন্ডারবাজিতে অতিষ্ঠ এখানকার অধিবাসীরা। জননেত্রী প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়ন কাজগুলোতে বসানো হচ্ছে বখরা। সামান্য টিউবওয়েলের জন্য জনগণকে ৫০ হাজার টাকা করে গুনতে হচ্ছে। এ টাকা কার পকেটে যাচ্ছে এর হিসেব নিতে হবে এলাকাবাসীকে।
চট্টগ্রাম-৮ আসনের প্রয়াত সংসদ সদস্য মঈন উদ্দিন খান বাদলের স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। গতকাল শনিবার বিকালে উপজেলার বিআরডিবি প্রশিক্ষণ হলরুমে নাগরিক কমিটির ব্যানারে এই স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন কমিটির আহ্বায়ক আওয়ামী লীগ নেতা আহমদ হোসাইন।
এস এম আবুল কালাম বলেন, বাদল ভাই দেখিয়ে দিয়েছেন, কীভাবে নিরপেক্ষ থেকে রাজনীতি করা যায়। এখন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনেও বাণিজ্য হচ্ছে। বোয়ালখালী আওয়ামী রাজনীতিকে সুস্থ ধারায় ফিরিয়ে আনতে বাদলের পথ অনুসরণ করে আমৃত্যু কাজ করে যাবেন বলে দলীয় নেতাকর্মীদের প্রতিশ্রুতি দেন তিনি। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাদলের স্ত্রী সেলিনা খান বলেন, বাদল সাহেব কালুরঘাট সেতু নিয়ে সংসদের ভেতরে-বাইরে অনেক সংগ্রাম করেছেন। এমনকি সংসদ থেকে বেরিয়ে যাবারও হুমকি দিয়েছিলেন। শেষ পর্যন্ত দেখে যেতে পারলেন না তার স্বপ্নের সেই সেতুটি। এবার যদি সেতুটি একনেকে পাশ না হয় তাহলে জনগণকে নিয়ে আন্দোলনে নামবেন বলে জানান তিনি।
উপজেলা যুবলীগ নেতা মো. সেলিম উদ্দিনের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন জাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি অ্যাডভোকেট আবু মোহাম্মদ হাসেম, সৈয়দুল আলম, মহানগর শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. নুরুল ইসলাম, উত্তর জেলা জাসদ সভাপতি ভানু রঞ্জন চক্রবর্তী, হামিদুল হক সিকদার, পৌর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি এমএস আলম, ইউছুপ মাস্টার ও উপজেলা জাসদের সাধারণ সম্পাদক ওবাইদুল হক।