রাজনীতিকে নষ্ট করেছিল বিএনপি : তথ্যমন্ত্রী

| বৃহস্পতিবার , ১ অক্টোবর, ২০২০ at ৫:১২ পূর্বাহ্ণ

তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপি রাজনীতিকে নষ্ট করেছিল, রাজনীতিতে কালো টাকা এবং ‘মাসলম্যান’ (পেশীশক্তি) আমদানি করেছিল। তিনি গতকাল বুধবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাগররুনি মিলনায়তনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট ও স্বাধীনতা পরিষদের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

. হাছান মাহমুদ বলেন, শেখ হাসিনার জীবন বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, তিনি একজন জীবন্ত কিংবদন্তী, তাঁর জীবনগাথা একটি সংগ্রামী জীবনের উপাখ্যান, পৃথিবীর সামনে তিনি এক অনুকরণীয় নেতৃত্বের দৃষ্টান্ত।

বিএনপির সামপ্রতিক বক্তব্য প্রসঙ্গে তথ্যমন্ত্রী বলেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ বিএনপির অন্য নেতারা বলেছেন, আজকে নাকি নষ্ট সময় যাচ্ছে। অথচ প্রকৃতপক্ষে তারাই রাজনীতিকে নষ্ট করেছিল। জিয়াউর রহমান দম্ভ করেই বলতেন যে, ‘মানি ইজ নো প্রবলেম’। বিএনপিই রাজনীতিতে কেনাবেচার হাট বসিয়েছিল। বিএনপির বড়বড় নেতা যারা আজকে বড়বড় কথা বলে তারা অনেকেই রাজনীতির হাটে বিক্রি হওয়া রাজনীতিবিদ। তারা যখন সময় নিয়ে প্রশ্ন রাখে, তখন মনে করতে হবে সময়টা ভালো যাচ্ছে। খবর বাসসের।

বাংলাদেশে গুমখুনের রাজনীতি চালু করেছিল বিএনপি, খুনের রাজনীতির মাধ্যমেই বিএনপির প্রতিষ্ঠা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, শুধুু খুন নয়, বঙ্গবন্ধু হত্যার পর যাতে হত্যার বিচার না হয়, সেজন্য তারা সংসদে আইন পাস করেছিল। বিএনপির আমলে ২০০২ সালে অপারেশন ক্লিনহার্ট পরিচালনায় প্রায় শতাধিক মানুষকে হত্যা করা হয়েছে। আর এই সমস্ত হত্যাকাণ্ডের কোনো বিচার না হওয়ার জন্য তারা আবার ইমডেমনেটি দিয়ে হত্যাকাণ্ডকে আইনগত বৈধতা দিয়েছে । যারা এই ধরনের কাজ করে তারা যখন এ নিয়ে কথা বলে, তখন এটি হাস্যকর হয়ে দাঁড়ায়। বিএনপি নারী ধর্ষণকারীরও দল উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান বলেন, ২০০১ সালে নির্বাচনের পরে ৮বছরের শিশুকে ধর্ষণ করা হয়েছে। নৌকায় ভোট দেয়ার অপরাধে পুরো গ্রাম অবরুদ্ধ করে অন্তসত্ত্বা মহিলাসহ শতশত নারীকে ধর্ষণনির্যাতন করা হয়েছে। সুতরাং বিএনপি শুধু খুনীর দল নয়, তারা ধর্ষণকারীরও দল। কারণ এই নারী ধর্ষণের কোনো বিচার তারা করেনি বরং দলগতভাবে তাদেরকে বাহবা দেয়া হয়েছে।

আওয়ামী লীগ অপরাধীদের বিষয়ে শূণ্যসহিষ্ণুতার নীতিতে অটল উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, এই ধরনের অপকর্মের সাথে যারা যুক্ত, তারা কোনো দলের নয়, তারা দুষ্কৃতিকারী। এদের কেউ দলীয় পরিচয়কে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করলে, সরকার এবং আমাদের দল এ ব্যাপারে জিরো টলারেন্স নীতিতে কাজ করছে। যারাই এই অপকর্মের সাথে যুক্ত থাকবে, তাদেরকে বিচারের আওতায় আনা হচ্ছে এবং ভবিষ্যতেও হবে।

বাংলাদেশ স্বাধীনতা পরিষদের উপদেষ্টা ব্যারিস্টার মো. জাকির হোসেনের সভাপতিত্বে ও বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক অরুণ সরকার রানার সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য দেন, স্বাধীনতা পরিষদের সভাপতি মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ, সাধারণ সম্পাদক শাহাদৎ হোসেন টয়েল, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সহসভাপতি অরুণা বিশ্বাস, এম এ করিম প্রমুখ।

পূর্ববর্তী নিবন্ধতৃণমূল কর্মীদের চাঙ্গা করতে ২ মাসের কর্মসূচি বিএনপির
পরবর্তী নিবন্ধবন্দরসহ সকল স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে ৫০ শতাংশ বিভাগীয় কোটা দাবি