চতুুর্থ ধাপে অনুষ্ঠিতব্য রাঙামাটি পৌরসভা নির্বাচনের প্রচার-প্রচারণা শেষ হয়েছে গতকাল (শুক্রবার) মধ্যরাত থেকে। পৌর নির্বাচনকে ঘিরে নির্বাচনী প্রচারণায় সরব ছিল পার্বত্য পর্যটন শহর রাঙামাটি। মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীদের প্রতিশ্রুতিতে প্রাধান্য পেয়েছে পর্যটন শহর হিসাবে রাঙামাটিকে আধুনিক শহরে গড়ে তোলার।
১৪ ফেব্রুয়ারি ৪র্থ ধাপের রাঙামাটির পৌরসভা নির্বাচনে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে মেয়র পদে লড়ছেন ৫ জন। তবে মূল লড়াইটা হবে আওয়ামী লীগের বর্তমান মেয়র আকবর হোসেন চৌধুরী ও বিএনপির মনোনীত প্রার্থী এ্যাডভোকেট মামুনুর রশীদ মামুনের মধ্যে। এছাড়া জাতীয় পার্টি, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি ও একজন স্বতন্ত্র প্রার্থী মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও মাঠের প্রচারণায় এগিয়ে প্রধান দুই দল। রাঙামাটির ইতিহাসে প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার করে ভোটগ্রহণ। এনিয়ে ভোটার এবং প্রার্থী সবার মধ্যেই দেখা যাচ্ছে উৎকন্ঠা ও উচ্ছাসও। নতুন এই ভোটিং পদ্ধতি নিয়ে আগ্রহের কমতি নেই। শুক্রবার মক ভোটে অংশ নিয়ে অনেকেই নিশ্চিত হয়ে নিয়েছেন ভোটের পদ্ধতি সম্পর্কে।
আইনশৃংখলাবাহিনী সূত্র জানিয়েছে, প্রতিটি কেন্দ্রে ৭ জন পুলিশ, ৯ জন আনসার সদস্য সার্বক্ষণিকভাবে দায়িত্ব পালন করবেন। পাশাপাশি পুলিশের ১১টি মোবাইল টীম এবং ১১ টি স্ট্রাইকিং ফোর্স নির্বাচনে যেকোন সংঘাত সহিংসতা প্রতিরোধে কাজ করবে এদিন। পুলিশ ছাড়াও র্যাব ও বিজিবি’র সদস্যরাও পুরো পৌর শহরে টহল দেবেন সারাদিন। সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং অফিসার শফিকুর রহমান বলেন, রাঙামাটির ৪র্থ ধাপের পৌরসভা নির্বাচনের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশন। রাঙামাটির পৌর এলাকার ৩১টি ভোটকেন্দ্রে ৬২ হাজার ৯১৩ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৩৪ হাজার ২৪২ এবং মহিলা ভোটার ২৮ হাজার ৬৭১।