রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী এমপি বলেছেন, রাউজানে সব কিছু আছে, একটি মেডিক্যাল কলেজের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। একটি মেডিক্যাল কলেজ প্রতিষ্ঠিত হলে আমি শান্তি পাব। গতকাল শনিবার গহিরা আবদুল জব্বার ইয়াংমেন সোসাইটি বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের পুনর্মিলনী উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন একুশে পদকপ্রাপ্ত দৈনিক আজাদী সম্পাদক এম এ মালেক। তিনি বলেন রাউজান বহুগুণির জন্মধন্য। শিক্ষা সাস্কৃতিতে উর্বর উপজেলা। রাউজানের সন্তানরা সব অসম্ভব সম্ভব করতে পারে। তিনি বলেন ‘সবকিছুর গোড়াপত্তন হচ্ছে শিক্ষা, সেই শিক্ষা যদি সুশিক্ষা হয়। একজন মানুষকে তার জন্ম থেকে শুরু করে মৃত্যু পর্যন্ত বিভিন্ন সংঘাত, পরিবার সমাজ, রাষ্ট্র এগুলো সব পার হয়ে আস্তে আস্তে প্রকৃত মানুষ হতে হয়।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সাবেক মুখ্যসচিব ও ইউসেপ বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক ড. মো. আবদুল করিম বলেন, এই বিদ্যাপীঠ বহুগুণি জন্ম দিয়েছে। এটি দেশের মধ্যে একটি মডেল শিক্ষা নিকেতন। জে. কে গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম খান বলেন, গহিরার এই বিদ্যালয়ের ইতিহাস ঐতিহ্যকে মনে ধারণ করে আমাদেরকে এই বিদ্যালয়কে মেধা বিকাশের পাঠশালা হিসেবে এগিয়ে নিতে হবে। সংগঠনের সভাপতি মুজিবুর রহমানের সভাপতিত্বে ও সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম নেজামের সঞ্চালনায় এই অনুষ্ঠান থেকে’ মুক্তিযোদ্ধা সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয় উপজেলা আওয়ামীলীগের প্রবীণ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী আবদুল ওহাবকে।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক কামরুল হাসান বাদল, রাউজান পৌর মেয়র জমির উদ্দীন পারভেজ, বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সভাপতি ডা. দীপক সরকার, আ.লীগ নেতা কাজী মো. ইকবাল, প্যানেল মেয়র বশির উদ্দীন খান, চট্টগ্রাম চেম্বারের পরিচালক আলমগীর পারভেজ, তাইসীর আলম খান, ড. শাহ নেওয়াজ। অতিথিদের সম্মাননা স্মারক দিয়ে শুভেচ্ছা জানান শিক্ষানুরাগী মনছুর মিয়া, আবদুল্লাহ আল মতিন, রাজু ভট্টাচার্য্য, নুর আলী। অনুষ্ঠানে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মাননা প্রদান করা হয়। এর আগে প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহনে বর্ণাঢ্য র্যালি বের করা হয়।
