চট্টগ্রাম নগরীর আগ্রাবাদ বাদামতল মোড়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের উপর হামলা করে ছাত্রকে মারধর করে শার্টের পকেট থেকে মোবাইল চুরির অভিযোগে নগর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নুরুল আজিম রনিসহ ৬৯ জনের নামে মামলা করা হয়েছে। এতে অজ্ঞাত আরো ৫০/৬০ জনকে আসামি রাখা হয়।
মঙ্গলবার (১লা অক্টোবর) বিকেলে নগরীর ডবলমুরিং মডেল থানায় নোয়াখালী জেলার ধর্মপুর গ্রামের মো. মেহেদী হাসান রায়হান (৩১) এ মামলা দায়ের করেন। এই শিক্ষার্থী বর্তমানে নগরীর হালিশহর এলাকায় বসবাস করেন।
মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিএমপি ডবলমুরিং মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী মো. রফিক আহমেদ। মামলাটি তদন্ত করবেন এসআই সোহেল কামাল। যার থানা মামলা নং-০১।
মামলায় উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন-চট্টগ্রাম কমার্স কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি ফখরুল ইসলাম রুবেল (৩৩), সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম আলভী (৩৩), সাবেক সভাপতি লুৎফুর এহসান শাহ (৩৮), যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বিল্টু সেন (৩৩), প্রচার সম্পাদক ওসমান গণি (৩৩), দপ্তর সম্পাদক আইনুল সোহাগ (৩৩), সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মিরাদুল আলম (২৮), সহ-সভাপতি নাহিদ পাটোয়ারী মুন্না (৩০), চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি শাহাদত হোসেন পারভেজ প্রকাশ তোতা পারভেজ (৩৩), মহানগর ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রিয়াদুল কবির বিলাস (৩৩), মহানগর যুবলীগের সাবেক সদস্য নাজমুল হক টগর (৪২) ও আওয়ামী লীগ নেতা হাসান নুর জামানসহ ৬৯ জন।
এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গত ১৬ জুলাই চট্টগ্রামসহ সারাদেশে বৈষম্যবিরোধী কোটা আন্দোলনে সাধারণ ছাত্ররা শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করার লক্ষ্যে নগরীর বায়েজীদ থানাধীন দুই নম্বর গেইট জংশনে জড়ো হওয়ার আহ্বান জানান।
শিক্ষার্থীরা ওই সমাবেশে যোগদান করার জন্য আগ্রাবাদ বাদামতলী এলাকায় উপস্থিত হতেই এজাহার নামীয় আসামীরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা করে বসেন। এতেই ভিকটিম মেহেদী হাসানকে হত্যার উদ্দেশ্যে মারধর করে শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে শার্টের পকেট হতে মোবাইল চুরি করে নিয়ে যান বলে উল্লেখ্য করেন।
হামলাকারীদের আক্রমণের বিপরীতে ছাত্ররা ছত্রভঙ্গ হওয়ায় আসামিরা ভিকটিমকে ঘটনাস্থল হতে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে যান নগরীর ২ নম্বর গেইট এলাকায়। এরপর কিল, ঘুষি মারার নির্যাতনের দৃশ্য মোবাইল ফোনে ভিডিও ধারণ করেন।’
এ প্রসঙ্গে ডবলমুরিং মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী মো. রফিক আহমেদ বলেন, ‘গত ১৬ জুলাই বৈষম্যবিরোধী কোটা আন্দোলনে এক ছাত্রকে মারধর করার ঘটনায় ৬৯ জনের নামে একটি মামলা হয়েছে। যা তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’