সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নামকরণ ও বিদ্যমান নাম পরিবর্তনের জন্য ‘সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নামকরণ ও বিদ্যমান নাম পরিবর্তন নীতিমালা, ২০২৩’ জারি করেছে সরকার। গতকাল সোমবার প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত নীতিমালা জারি করা হয়েছে। খবর বাংলানিউজের।
নাম পরিবর্তনের জন্য বিবেচনাযোগ্য বিষয়: প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নাম শ্রুতিকটু ও নেতিবাচক এবং শিশুমনে ও জনমনে বিরূপ প্রভাব ফেলছে এমন বিবেচিত হলে; প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নাম দেশের যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত ও সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তির নামে নামকরণ হয়ে থাকলে; প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নামকরণ ও বিদ্যমান নাম পরিবর্তনের ক্ষেত্রে উপযুক্ত আদালতের বিশেষ কোনো নির্দেশনা থাকলে; এবং ভূমিকম্প, নদী ভাঙনসহ নানাবিধ কারণে বিদ্যালয়ের নামের দ্বৈততা বা জটিলতা প্রতিভাত হলে তা পরিহারের জন্য।
যেভাবে নামকরণ ও বিদ্যমান নাম পরিবর্তন: শিক্ষাক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছেন এমন ব্যক্তির নাম অনুসারে অথবা বীর মুক্তিযোদ্ধার নাম অনুসারে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নামকরণ বা নাম পরিবর্তন করা যাবে। তবে শর্ত থাকে যে, এ ধরনের ব্যক্তি কিংবা বীর মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে কেউ রাষ্ট্রবিরোধী, ফৌজদারী, দেওয়ানী ও দুর্নীতির অপরাধে অভিযুক্ত কিংবা সাজাপ্রাপ্ত হলে তাদের নামে বিদ্যালয়ের নামকরণ করা যাবে না; যদি না তারা উপযুক্ত আদালত কর্তৃক খালাসপ্রাপ্ত হয়। এছাড়া ক্ষেত্র বিশেষে এলাকার নাম অনুসারেও নামকরণ করা যাবে। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নতুন নামকরণের ক্ষেত্রে প্রস্তাবিত বীর মুক্তিযোদ্ধা বা শিক্ষাক্ষেত্রে অবদান রেখেছেন এমন ব্যক্তির স্থায়ী ঠিকানা ও সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়টি একই উপজেলায় বা থানায় (সিটি কর্পোরেশনের ক্ষেত্রে) হতে হবে।
কোনো বীর মুক্তিযোদ্ধা বা শিক্ষাক্ষেত্রে অবদান রেখেছেন এমন ব্যক্তির নামে একটির বেশি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নাম নতুন করে নামকরণ করা যাবে না। স্থানীয় ইতিহাস, সংস্কৃতি ও কৃষ্টির সঙ্গে সাযুজ্য সাপেক্ষে নাম পরিবর্তন বা নতুন নামকরণ করা যাবে।