ঝলমলে সেই পোশাক পরে যখন আসে বোশেখটা
কেমন জানি আমার ভেতর উসকে উঠে দোষ একটা
দোষটা তবে আর কিছু নয়,মন নেচে যায় ধিন্ তা’
মন বলে যে ফূর্তি করো, নয় কোনোরূপ চিন্তা
তাই তো আমি বোশেখ এলেই নিই লুফে কী আনন্দ
এই বোশেখের প্রতি আমার নিগূঢ় এক টান-অন্ধ
বোশেখ এলেই সঙ্গে আসে দুষ্টু সে কালবোশেখি
সত্যি আমি দেখেই অবাক তার ভেতরে জোশ একী !
সবটা করে তার মত সে ইচ্ছেটি হয় তার যত
বিষয় হলো কারোর কথায় কান দেয় না সে কার্যত
একরোখা এক বালক যেন দ্রুত চালায় তার পা সে
ছুটতে থাকে দিক বিদিকে দাপিয়ে বেড়ায় চারপাশে
দুমড়ে ফেলে বৃক্ষরাজি, টিনের চালা, ঘর-বাড়ি
তাকান ছাড়া কারোর তখন কিচ্ছুটি নেই করবারই
কালবোশেখি দুষ্টু এমন সব করে দেয় একাকার
তোমরা তখন আমায় ছাড়া আর পাবে সেই দেখা কার
আমি তো ভাই ঝড় তুফানে বেরিয়ে পড়ি ঘর থেকে
মনটা দিয়ে এমন সময় চায় বলো আর পড়তে কে?
কালবোশেখি এলেই নদী ফুঁসতে থাকে তরঙ্গে
পালতোলা সেই নৌকোগুলো দুলতে থাকে স্ব-রঙ্গে
উড়তে থাকে খড়কুটো আর টুকরো কাগজ পলিথিন
দুষ্টুমিতে লাফাই আমি এক, দুই আর বলি তিন
বাড়ির কাছে আমের গাছে হোক না ফলন বাম্পার
কাউকে তখন বলতে নাহয় ঢিল ছুঁড়ে তুই আম পাড়
কারণ হলো আম ঝরে যায় কালবোশেখির দমকায়
ভর্তা করে এই কাঁচা আম কেউ বুঝি আর কম খায় ?
একেক করে কোঁচড় ভরে সবটা কুড়োই আম আমি
সুবোধ বালক – বাসায় ফিরি ঝড় হলে পর তামামি
বোশেখ এলেই পাই আমি সেই কালবোশেখির বার্তা
আপন মনের রঙ মিশিয়ে পড়তে থাকি আর তা’
কারণ আমি ভালোই জানি ওর সে’ আদি ওর অন্ত
ইচ্ছে করে তার মত হই দুষ্টু এবং দুরন্ত
কিনতু আমি করলে কিছুই তোমরা ধরো দোষ এ কি !
সত্যি আমায় মাতিয়ে রাখে দুষ্টু সে’ কালবোশেখি ।