নগরীর আসকারদীঘির পাড়ে চুরি যাওয়া মোটর সাইকেলের খোঁজে পুলিশের অভিযান দেখে এক মা তার চোর ছেলেকে কৌশলে ধরে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছেন। গত শনিবার রাতে কোতোয়ালী থানাধীন আসকারদীঘি পশ্চিম পাড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে।
এ সময় পুলিশ তুহিন ভূঁইয়া (২২) নামে ওই যুবককে গ্রেপ্তারের পাশাপাশি কয়েকঘণ্টা আগে কোতোয়ালীর তামাকুমণ্ডি লেনের মার্কেট থেকে চুরি যাওয়া সেই মোটর সাইকেলটি উদ্ধার করেছে। কোতোয়ালী থানার ওসি মোহাম্মদ মহসিন জানান, আশফাক উদ্দিন নামের এক ব্যক্তি শনিবার রাতে তার মোটর সাইকেলটি রাস্তায় তালা দিয়ে রেখে তামাকমুণ্ডি লেনের মোবাইল মার্কেট যান। সেখানে দোকানে মোবাইল ফোনটি মেরামত শেষে কিছুক্ষণ পর এসে দেখেন তার মোটর সাইকেলটি নেই। পরে আশপাশের লোকজন তাকে জানায় এক যুবক রিকশায় করে মোটর সাইকেলটি নিয়ে গেছে। আশফাক তাৎক্ষণিক টহল পুলিশকে জানালে তারা অভিযান শুরু করে।
ওসি মহসিন বলেন, কোতোয়ালী থানা পুলিশের দলটি মোটর সাইকেলের সন্ধানে কাজীর দেউড়ি এলাকায় যায়। সেখানে স্থানীয় একজন জানান, এক যুবককে রিকশায় করে মোটর সাইকেল নিয়ে আসকার দীঘির পাড়ের দিকে যেতে দেখেছেন। কাজীর দেউড়ি মোড়ে এই তথ্য পাওয়ার পর পুলিশ আসকার দীঘির পাড়ে শতদল ক্লাব সংলগ্ন একটি গলিতে গিয়ে মোটর সাইকেলটির খোঁজ পায়। সেখানে মোটর সাইকেলটির খোঁজ পাওয়া গেলেও চোরের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। একটি পর্যায়ে তুহিন নামে এক যুবকের মা পারভীন আক্তার তার ছেলেকে ধরে রেখে পুলিশকে খবর দেন।
ওসি জানান, ছেলে যাতে পালাতে না পারে সেজন্য ওই মা গলির সব প্রবেশপথে স্থানীয় লোকজন দিয়ে পাহারা বসান। এক পর্যায়ে নিজেই ছেলেকে পুলিশের গাড়িতে তুলে দেন। বিবেকের তাড়নায় তিনি ছেলেকে ধরিয়ে দিয়েছেন বলে আমাদের জানিয়েছেন। এই কাজ অবশ্যই প্রশংসনীয় বলে জানান কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা।
পুলিশ জানায়, বি-বাড়িয়া জেলার সুলতানপুর গ্রামের মো. খোকন ভুঁইয়ার স্ত্রী মমতাজ বেগম স্থানীয় একটি স্কুলে আয়ার কাজ করেন। আর ছেলে তুহিন নিজেকে অটোরিকশার চালক পরিচয় দিলেও সে আসলে মাদকাসক্ত। এই ঘটনায় কোতোয়ালী থানায় একটি মামলা হয়েছে।