ঢাকার কদমতলীতে এক পরিবারের তিনজনকে হত্যার ঘটনায় করা মামলায় মেয়ে মেহজাবিন ইসলাম মুনের পর তার স্বামী শফিকুল ইসলামকেও হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করবে পুলিশ। শনিবার ঘটনাস্থল থেকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার শফিকুলকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়ার পর গতকাল সোমবার ঢাকার আদালতে নেওয়া হয়। মামলার আসামি শফিকুলকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে সাত দিনের জন্য হেফাজতে চেয়ে তদন্ত কর্মকর্তা কদমতলী থানার পরিদর্শক জাকির হোসাইন আদালতে আবেদন করেন। শুনানি শেষে ঢাকার মহানগর হাকিম শাহিনুর রহমান তিন দিন রিমান্ডের আদেশ দেন। খবর বিডিনিউজের। শফিকুলের স্ত্রী মেহজাবিনকেও ইতোমধ্যে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে পেয়েছে পুলিশ। মেহজাবিন (২৪) ঘটনার দিনই বাবা মাসুদ রানা (৫০), মা মৌসুমী আক্তার (৪৫) এবং বোন জান্নাতুলকে (২০) হত্যার কথা স্বীকার করেন বলে পুলিশ জানায়।
কদমতলীতে প্রবাসী মাসুদ রানার বাড়িতে সেদিন শফিকুল ও তার শিশুসন্তানকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধারের পর হাসপাতালে নিয়েছিল পুলিশ। শফিকুলের ভাষ্য, শুক্রবার রাতে তার স্ত্রী মেহজাবিন তাকে চা পান করতে দিয়েছিল। তারপর তার আর কিছু মনে নেই। পুলিশ বলছে, পরিবারের প্রতি ক্ষোভ থেকে মা-বাবা-বোনকে অচেতন করে শ্বাসরোধে হত্যার পর মেহজাবিন নিজেই ৯৯৯ এ ফোন করেন।
অন্যদিকে মাসুদের ভাই পরে মেহজাবিন ও তার স্বামী শফিকুলকে আসামি করে মামলা করেন। হত্যাকাণ্ডে তিনি স্ত্রীকে সহযোগিতা করেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে। রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, আসামিকে হাসপাতাল থেকে থানায় এনে প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করে মামলা সংক্রান্ত বেশ কিছু তথ্য পাওয়া গেছে। তবে কী কারণে তিনজনকে হত্যা করা হয়েছে এবং এ ঘটনার সঙ্গে আর কেউ জড়িত কি না, সে সম্পর্কে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন।