মার্কেটে উপচেপড়া ভিড়

ইফতারের পর থেকে বিক্রি বেশি

জাহেদুল কবির | সোমবার , ৮ এপ্রিল, ২০২৪ at ৬:১৫ পূর্বাহ্ণ

ঈদের বাকি আছে আর মাত্র ২৩ দিন। মার্কেটগুলোতে তাই এখন চলছে শেষ মুহূর্তের কেনাকাটা। পছন্দের পণ্য কিনতে ক্রেতারা এক মার্কেট থেকে অন্য মার্কেটে ঘুরছেন। মূলত বেচাবিক্রির ব্যস্ততা শুরু হয় ইফতারের পর থেকে। শুধু পোশাক নয়, নিজেকে মনের মতো রাঙাতে তরুণীরা ছুটে যাচ্ছেন বিউটি পার্লারগুলোতে। অন্যদিকে নগরীর বিপণি বিতানের জুয়েলারির দোকানগুলোতে তরুণীদের গহনা ও আংটি কিনতে দেখা গেছে।

সরেজমিনে গতকাল নগরীর টেরীবাজার, নিউ মার্কেট, রেয়াজউদ্দিন বাজার, তামাকুমণ্ডি লেইন, জহুর হকার্স মার্কেট, বালি আর্কেড, কেয়ারি ইলিশিয়াম, সেন্ট্রাল প্লাজা, মিমি সুপার মার্কেট, আফমি প্লাজা, ফিনলে স্কয়ার, শপিং কমপ্লেক্স, স্যানমার ওশান সিটি, ইউনুস্কো সিটি সেন্টার, আমীন সেন্টার, ভিআইপি টাওয়ার, আখতারুজ্জামান সেন্টার, সিঙ্গাপুর ব্যাংকক মার্কেট ও মতি টাওয়ারের বিভিন্ন দোকান ঘুরে দেখা যায়, প্রায় প্রত্যেকটি দোকানে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়। বিক্রেতাদের দম ফেলার ফুসরত নেই। ক্রেতা আকর্ষণে বিরতিহীনভাবে বিভিন্ন ধরনের পোশাক ও পণ্যের কালেকশন দেখিয়ে যাচ্ছেন তারা। ক্রেতারা আগ্রহ নিয়ে সেইসব পণ্য খুঁটিয়ে দেখছেন।

নগরীর সিঙ্গাপুর ব্যাংকক মার্কেটে কথা হয় ক্রেতা মনির হোসেনের সাথে। তিনি বলেন, কেনাকাটা প্রায় শেষ। এখন বন্ধুদের সঙ্গে এসেছি জুতা কিনতে। এ বছর জুতার দামও অনেক বেশি। সিঙ্গাপুর ব্যাংকক মার্কেট দোকান মালিক ব্যবসায়ী সমিতির অর্থ সম্পাদক ও ঈদ বিক্রয় উৎসব কমিটির সদস্য সচিব মীর নাছির উদ্দিন শিকদার বলেন, আমাদের মার্কেটে এখন সেহেরির সময়ও বেচাবিক্রি চলছে। আমরা সবসময় ক্রেতাদের সন্তুষ্টিকে প্রাধান্য দিয়ে থাকি। আনুষাঙ্গিক অনেক খরচ বাড়ার কারণে কিছু কিছু পণ্যের দাম গত বছরের তুলনায় বেশি বলে জানান তিনি।

রেয়াজউদ্দিন বাজারে আসা গৃহিণী জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, কিছু টুকিটাকি কেনাকাটা বাকি ছিল, সেজন্য মার্কেটে এসেছি। তবে বিক্রেতারা দাম বেশি হাঁকছেন।

রেয়াজউদ্দিন বাজার বণিক সমিতির সভাপতি মো. ছালামত আলী বলেন, ঈদের বাকি আর বেশিদিন নেই। তাই মার্কেটে এখন জমজমাট বেচাবিক্রি চলছে।

জহুর হকার্স মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির যুগ্ম সদস্য সচিব ফজলুল আমিন বলেন, ঈদ মার্কেট এখন শেষের দিকে। শেষ মুহূর্তে কেনাকাটা করতে অনেক ক্রেতা মার্কেটে ছুটে আসছেন। আমাদের এখানে ক্রেতারা আসেন মূলত কম দামে ভালো পণ্যটি কেনার জন্য। আমরা ক্রেতাদের চাহিদা পূরণ করতে পারছি। প্রতি বছরের মতো এবার এখানে জমজমাট বেচাবিক্রি হচ্ছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধপিএইচপি কুরআনের আলো প্রতিযোগিতায় সেরাদের সেরা হাফেজ জিসান
পরবর্তী নিবন্ধমাংস পাঠাতে চায় ব্রাজিল, ঢাকার আগ্রহ আস্ত গরুতে