মাংস পাঠাতে চায় ব্রাজিল, ঢাকার আগ্রহ আস্ত গরুতে

| সোমবার , ৮ এপ্রিল, ২০২৪ at ৬:১৬ পূর্বাহ্ণ

বাংলাদেশে প্রক্রিয়াজাত করা গরুর মাংস পাঠানোর আগ্রহ দেখিয়েছে ব্রাজিল; তবে সুযোগ থাকলে কোরবানির ঈদে জীবন্ত গরু পেতে চায় বাংলাদেশ। রোববার ঢাকার একটি হোটেলে ব্রাজিলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাউরো ভিয়েরার সঙ্গে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটুর বৈঠকে গোমাংস নিয়েও আলোচনা হয়। খবর বিডিনিউজের।

বৈঠকের পর ব্রিফিংয়ে টিটু বলেন, ‘ওদের দিক থেকে প্রাণিজ প্রোটিনটা ফোকাসে ছিল। বিশেষ করে মাংসে আপনারা জানেন, ব্রাজিল অত্যন্ত কম দামে মাংস উৎপাদন করতে পারে, রপ্তানি করতে পারে। এ ব্যাপারে তারা কথা বলেছে। আমরা আগামী কোরবানি সামনে নিয়ে, আমি ব্যক্তিগতভাবে অনুরোধ করেছি, যদি সস্তাই হয়আমাদের দেশে লাইভ ক্যাটল আনার ব্যবস্থা করা যায় কি না। তারা বলেছে, দেখবে।’ খবর বিডিনিউজের। দুদিনের সফরে রোববার সকালে ঢাকায় পৌঁছান ব্রাজিলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভিয়েরা। বাংলাদেশে প্রথম উচ্চ পর্যায়ের এ সফরে একটি ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদলকে সঙ্গে এনেছেন তিনি।

দুপুরে ধানমন্ডিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্মৃতি জাদুঘরে জাতির পিতার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের পর বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক বসেন ব্রাজিলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। ওই বৈঠকে দুদেশের আমদানিরপ্তানির সুযোগ কাজে লাগাতে বিভিন্ন বিষয়ে খাতভিত্তিক আলোচনা হওয়ার কথা সাংবাদিকদের জানান বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, গরু বা গরুর মাংস আমদানির বিষয়টি বর্তমানে ‘প্রাথমিক পর্যায়ে’ আছে।

কেমন দামে ব্রাজিল মাংস দিতে চায়, সেই প্রশ্নে টিটু বলেন, ‘আমরা আগে যদি আমদানি অনুমোদন করি, তাহলে দাম নিয়ে, হেলথ সার্টিফিকেশন, লাইসেন্সিংএগুলো নিয়ে আলাপ হবে। আমাদের এখানে প্রাণিজ আমিষ আমদানি রেস্ট্রিকটেড। পোল্ট্রি এবং অন্য মাংস আমরা আমদানি করি না। আমরা স্টাডিগুলো করে নিই। করার পরে দেখা যাবে যে, কোন প্রাইস কতটুকু আনা হবে।’ বাংলাদেশের মাংস প্রক্রিয়াজাতকরণের বিষয়ে ব্রাজিল সরকারের জোর দেওয়ার কথা তুলে ধরে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা চাচ্ছি শুধু বাংলাদেশের মার্কেট নয়, তারা যেন বাংলাদেশে প্রক্রিয়াজাত করে এশিয়ার মার্কেটে সরবরাহ করতে পারে, এটা আমরা তাদেরকে উৎসাহিত করেছি। বাংলাদেশকে শুধু বাংলাদেশ মার্কেট না দেখে, দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার হাব হিসাবে দেখতে পারে। এখানে প্রসেস করে যেন আসিয়ান মার্কেটে ঢোকাতে পারে।

পোশাক ও পাটকে শুল্কমুক্ত করার আলোচনা :

ব্রাজিল থেকে আমদানি করা তুলায় তৈরি পোশাক দেশটির বাজারে গেলে তাতে শুল্কমুক্ত সুবিধা দেওয়ার দাবি ভিয়েরার কাছে তুলে ধরার কথা জানিয়েছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী টিটু। তিনি বলেন, আমরা আমাদের দেশের ডিউটি ফ্রি অ্যাকসেসটা চাই। ওদের থেকে যে তুলাটা নিয়ে আসতেছি, সেই তুলার তৈরি গার্মেন্টস যেন আমরা ডিউটি ফ্রি অ্যাকসেস পাই।

ব্রাজিলের তুলা কেনার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অবস্থান চতুর্থ। ২০২২২৩ সালে ব্রাজিল থেকে ২৩৩ টন তুলা আমদানি করেছে বাংলাদেশ; ২০২৩২৪ সালে এখন পর্যন্ত ১৩২ টন আমদানি হয়েছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধমার্কেটে উপচেপড়া ভিড়
পরবর্তী নিবন্ধইসলাম আলোর পথ দেখায়- পীর পাউসার দরবার শরীফ