জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী মনির খান সক্রিয় ছিলেন রাজনীতিতেও। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) কেন্দ্রীয় কমিটির সহ–সাংস্কৃতিক সম্পাদক ছিলেন তিনি। ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে মনোনয়ন না পেয়ে তিনি দল থেকে পদত্যাগ করেন। সেবার বলেছিলেন, মন ভেঙে গেছে। তিনি বললেন, অভিমান করেছিলেন, মান ভেঙে ছয় বছর পর রাজনীতিতে ফিরছেন তিনি। শুধু দল নয়, মনোনয়ন না পাওয়ার কষ্টে রাজনীতি ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন মনির খান।
গত ৫ আগস্ট দেশের রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর আবারও রাজনীতিতে আসছেন বলে জানিয়েছেন শিল্পী। রাজনীতিতে ফেরা প্রসঙ্গে মনির খান বলেন, একটা অভিমান নিয়ে আমি রাজনীতি ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। অভিমানটা ছিল নির্বাচনকেন্দ্রিক।
২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে ঝিনাইদহ–৩ (মহেশপুর– কোটচাঁদপুর) আসন থেকে মনোনয়ন চেয়েছিলাম। সেসময় বিএনপি থেকে না দিয়ে আমাকে জামায়াত থেকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছিল। তখন যেমন অভিমান ছিল, পাশাপাশি তৎকালীন সরকারের পক্ষ থেকে চাপও ছিল, যেন নির্বাচনে অংশ না নিই। দলের প্রতি অভিমান ও সরকারের চাপ দুই মিলিয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম আর রাজনীতি করব না।
আবারও কেন রাজনীতিতে ফেরার সিদ্ধান্ত নিলেন? এ প্রশ্নে মনির খান বলেন, ‘অভিমান কার সঙ্গে করা যায়? যার প্রতি বেশি ভালোবাসা থাকে, তার সঙ্গেই মান–অভিমান করা যায়। মায়ের সঙ্গে সন্তানের মান–অভিমান হয়। যেখানে ঘনিষ্ঠতা গভীর, সেখানেই মান–অভিমান হয়। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সেই অভিমান ভেঙেও যায়। মোট কথা, আমি রাজনীিততে ছিলাম, আছি এবং থাকব। আমি আমার দলের সঙ্গে আছি। গত কয়েক দশক ধরে সংগীতচর্চা করে যাচ্ছেন মনির খান। অ্যালবামের পাশাপাশি চলচ্চিত্রে গান গেয়েও শ্রোতাদের মন জয় করেছেন তিনি। সংগীতে অনন্য অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে তিনি পেয়েছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারসহ বেশ কিছু পুরস্কার ও সম্মাননা। এখনও শ্রোতাদের নতুন নতুন গান উপহার দিয়ে যাচ্ছেন এই শিল্পী। ১৯৯৬ সালে একক অ্যালবাম ‘তোমার কোন দোষ নেই’ দিয়ে অডিও ইন্ডাস্ট্রিতে ঝড় তুলেছিলেন মনির খান। এ পর্যন্ত ৪২টিরও বেশি একক অ্যালবাম বেরিয়েছে তার। দ্বৈত ও মিশ্র অ্যালবামের সংখ্যাও অনেক। ‘প্রেমের তাজমহল’, ‘লাল দরিয়া’ ও ‘দুই নয়নের আলো’সহ অনেক সিনেমায় প্লেব্যাক করেছেন মনির খান।