এইতো বছর দুয়েক আগেও যে জায়গা পরিচিত পেতো নানা অসামাজিক কার্যকলাপের আঁতুর ঘর কিংবা মাদকের আখড়া নামে। সেই জায়গাটিতেই এখন ফুলের সুঘ্রাণে চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ছে শান্তির বারতা। বলছি সাবেক শুকতারা পয়েন্ট বর্তমানে পরিচিত ‘ডিসি পার্ক’ এর। এই যে অল্পদিনে এত পরিবর্তন এরজন্যই শুধু দরকার সদিচ্ছার। সীতাকুণ্ডের ফৌজদারহাটস্থ প্রায় ১৯২ একরের বিশাল এই জায়গাসহ আশপাশের অঞ্চল নিয়ে চলতো বিভিন্ন ধরণের অপরাধ কর্মকাণ্ড। পরবর্তীতে চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক আবুল বাশার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান স্যারের সঠিক দিক নির্দেশনায় নতুন রূপ পাই শুকতারা পয়েন্ট নামের এই স্থানটি। বহুবছর ধরে অরক্ষিত এই জায়গাটি উদ্ধার করে নতুন রূপে সাজিয়ে তুলতে ভ্রমণপিপাসুদের নিকট আরো বেশি আকৃষ্ট করতে নানা উদ্যোগ গ্রহণ করা হয় চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে। তারই ধারাবাহিকতায় ২য় বারের মতো গত ২৫ জানুয়ারি উদ্বোধন হয়ে গেলো চট্টগ্রাম তথা সারা বাংলাদেশের সবচেয়ে বৃহৎ ‘ফুলের মেলা’। যেখানে দেশ–বিদেশের প্রায় ১২৭ প্রজাতির নানা ফুল দিয়ে তৈরী করা হয় এবারের ফুলের মেলার বিভিন্ন মনুমেন্ট। যেটি ইতোমধ্যে চট্টগ্রাম ছাড়াও দেশের নানা জায়গার মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে এমন কর্মকাণ্ড যেটি অন্য সকলের জন্যও অনুকরণীয় বলে মনে করছেন বিশিষ্টজনেরা।
এছাড়াও এবারের মেলায় স্থান পেয়েছে চট্টগ্রামের ঐতিহ্য বিভিন্ন ধরনের নৌকার স্থাপত্য। যেটির মাধ্যমে তরুণ প্রজন্ম এই অঞ্চলের ‘নৌকা’ সম্পর্কেও জানতে পারছে। পাশাপাশি বিভিন্ন স্কুল–কলেজের ছাত্র–ছাত্রীদের দ্বারা অংকন করা বিভিন্ন চিত্রকর্ম মেলার সৌন্দর্যকে বাড়িয়েছে বহুগুণ। তবে এই স্থানটিকে সঠিকভাবে রক্ষণাবেক্ষণ করা হলে চট্টগ্রামের পর্যটনে নতুনমাত্রা যোগ হবে, পাশাপাশি এই অঞ্চলের পর্যটন আরো সমৃদ্ধ হয়ে উঠবে।