কক্সবাজারের মহেশখালীতে ৫৭ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত মাতারবাড়ী ১ হাজার ২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্রকে ‘প্রকল্প বিলাস’ বলে মন্তব্য করেছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।
এ প্রকল্প থেকে সাধারণ মানুষ খুব বেশি উপকৃত হচ্ছে না মন্তব্য করে তিনি বলেছেন, মূল প্রকল্পের ধারণা অনুসারে গভীর সমুদ্রবন্দর, শিল্পকারখানা, রেল ও সড়ক সংযোগ না করেই বিদ্যুৎকেন্দ্রটি নির্মাণ করা হয়েছে। ভবিষ্যতে এ ধরনের বিলাসী প্রকল্প থেকে সরকার সরে আসবে। ছোট প্রকল্পে মনোযোগী হবে সরকার। যাতে তা মানুষের কাজে আসে।
গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় কক্সবাজার হিলডাউন সার্কিট হাউসে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা মোহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। তিনি বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় এবং রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা।
ফওজুল কবির খান বলেন, আইনি জটিলতায় কয়লা আমদানি আদালতে ঝুলে থাকায় মাতারবাড়ি কয়লাবিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদন চালু রাখা নিয়ে চরম আশঙ্কা তৈরি হয়েছিলো। কারণ বিদ্যুৎ কেন্দ্রে বর্তমানে কয়লা মজুদ রয়েছে আর মাত্র মাসখানের। কিন্তু কয়লা আমদানি এবার সুখবর দেন তিনি। তিনি বলেন, কয়লা আমদানি নিয়ে আদালতের যে নিষেধাজ্ঞা ছিলো সেটি স্থগিত করা হয়েছে। ফলে কয়লা আমদানি নিয়ে এখন আর কোন জটিলতা নেই। নিয়ম অনুযায়ী, সব প্রক্রিয়া চলছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই কয়লা চলে আসবে দেশে।
এ সময় বিদ্যুৎ বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. হাবিবুর রহমান, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সচিব মো. নুরুল আলম, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. মুহিদুল ইসলাম ও বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. রেজাউল করিম, কঙবাজারের জেলা প্রশাসক মো. সালাহ উদ্দিন ও পুলিশ সুপার মো. রহমত উল্লাহ প্রমুখ।
এর আগে গতকাল শনিবার সকালে জ্বালানি, বিদ্যুৎ ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান ঢাকা থেকে বিমানযোগে কঙবাজার পৌঁছান। পরে তিনি মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়ী কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্প পরিদর্শনে যান। বিদ্যুৎকেন্দ্রটি পরিদর্শন শেষে নির্মাণাধীন গভীর সমুদ্রবন্দর ও এসটিএম প্রকল্পসহ বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প পরিদর্শন করেন।