করোনার প্রভাব কাটিয়ে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতরকে সামনে রেখে বাড়বে ঘরমুখো মানুষের চাপ। আর ছুটি শেষে কাজে বা বাড়িতে ফেরার প্রয়োজনে চট্টগ্রাম শহর থেকে মীরসরাইয়ের বিভিন্ন স্থানে পৌঁছার জন্য প্রয়োজন হবে অধিক যানবাহনের। তাই ঈদকে সামনে রেখে ওয়ার্কসপে চলছে লক্কড়-ঝক্কড় যানবাহন মেরামত। ইতিমধ্যে অনেক পুরানো বাসকে রাস্তায় নামতে দেখা যাচ্ছে। ফিটনেসবিহীন এসব গাড়ি রাস্তায় নামলে সড়ক দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন যাত্রীরা।
পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে এসব গাড়ি বন্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছেন। সরেজমিন ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের বারইয়ারহাট পৌরসভা এলাকাসহ বেশ কয়েকটি ওয়ার্কসপে গিয়ে দেখা গেছে, সেখানে লক্কড়-ঝক্কড় বাস মেরামতের কাজ চলছে। ফিটনেসবিহীন ভাঙা গাড়িগুলো ঝালাই করে জোড়াতালি দেওয়া হচ্ছে। কিছু গাড়ির ইঞ্জিন সড়ক দুর্ঘটনায় দুমড়ে মুচড়ে যাওয়া। কিছু গাড়ির ব্রেকে সমস্যা কিংবা সিটগুলো ছেঁড়া। এমন সব গাড়িগুলো মেরামত করা হচ্ছে। মিস্ত্রিরা এসব পুরাতন গাড়ি মেরামতে দিনরাত কাজ করে যাচ্ছেন।
চলাচলকারী যাত্রীদের অভিযোগ, স্থানীয় প্রশাসনের নজরদারী না থাকায় দিনকে দিন বাড়ছে এসব গাড়ির সংখ্যা। তাই উৎসবে প্রাণহানি যেন নিয়মিত ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
বারইয়ারহাট পৌরসদরে অবস্থিত বিসমিল্লাহ অটো কালার সেন্টার গিয়ে দেখা গেছে, একজন রঙমিস্ত্রি পুরনো গাড়িগুলোর বডিতে রঙের কাজ করছেন। কাজের ফাঁকে তিনি জানান, ঈদকে সামনে রেখে পুরাতন গাড়ি রঙ করে নতুন রূপে সাজানো হচ্ছে। সময়মতো ডেলিভারি দিতে দিন-রাত ব্যস্ত থাকতে হচ্ছে তাদের।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে নিয়মিত চলাচল করা আনোয়ারুল হক নিজামী ও যতন নাথ বলেন, এসব ফিটনেসবিহীন গাড়ির কারণেই এই মহাসড়কে দুর্ঘটনা ঘটছে হরহামেশা। আর তাতে যাত্রীদের চলাচলে ঝুঁকি বেড়ে যাচ্ছে বহুগুণ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক গাড়ি মালিকের সাথে এই বিষয়ে কথা হলে তিনি জানান, ঈদের আগে যাত্রীদের বাড়তি চাপ মাথায় রেখে ফিটনেসবিহীন গাড়িগুলো রাস্তায় নামানো হয়। তবে এ ক্ষেত্রে যাত্রীরা এই যানবাহনে কতটুকু নিরাপদ এ প্রশ্নের জবাবে তিনি কোন সদুত্তর দিতে পারেননি।
এই বিষয়ে জোরারগঞ্জ হাইওয়ো থানার অফিসার ইনচার্জ আলমগীর হোসেন বলেন, ঈদে ঘরমুখো মানুষের যাত্রায় স্বস্তি আনতে ফিটনেসবিহীন যানবাহনের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। পাশাপাশি যাত্রীদেরর এই বিষয়ে সচেতন থাকতে হবে।