মহাত্মা গান্ধীর অহিংস বাণীতে উদ্বুদ্ধ হয়ে বিনির্মিত হোক আজকের সমাজ

অহিংস দিবসের সেমিনারে উপাচার্য ড. শিরিন আকতার | বুধবার , ৪ অক্টোবর, ২০২৩ at ৫:৫৫ অপরাহ্ণ

মহাত্মা গান্ধী আজীবন শাস্তির লালিত বাণীতে সমাজের সবস্তরের মানুষকে অনুপ্রাণিত করেছেন। হিংসা-হানাহানি, সাম্প্রদায়িকতা, জাতিগত বিদ্বেষের বিপরীতে দাঁড়িয়ে তিনি আজীবন মানবতার গান গেয়েছেন। হিন্দু, মুসলমান, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান, দলিত, মুচি, মেথরসহ তথাকথিত অস্পৃশ্যদেরকে নিয়েই তিনি এক সুবিশাল ভারত গড়ে ভারতীয় জাতির পিতার অভিধায়ে ভূষিত হয়েছেন।

গত ২ অক্টোবর বিকেলে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের বঙ্গবন্ধু হলে বাংলাদেশ-ভারত ইতিহাস ও ঐতিহ্য পরিষদ কর্তৃক আন্তর্জাতিক অহিংস দিবস উপলক্ষে আয়োজিত সেমিনারে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. শিরিন আকতার একথা বলেন।

সংগঠনের বিভাগীয় সভাপতি তারেকুল ইসলাম জুয়েলের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট প্রদীপ কুমার চৌধুরীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সেমিনার উদ্বোধন করেন কবি, প্রাবন্ধিক ও আমাদের সময় পত্রিকার সম্পাদক আবুল মোমেন।

সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি তাপস হোড়ের স্বাগত বক্তব্যের শুরু হওয়া অনুষ্ঠানে অধ্যক্ষ শিমুল বড়ুয়া উপস্থাপিত প্রবন্ধের উপর আলোচনা করেন ডা. উত্তম বড়ুয়া, অধ্যক্ষ সুদীপা দত্ত, কাউন্সিলর নাজমুল হক ডিউক, কলামিস্ট মাসুম চৌধুরী, চট্টগ্রাম চেম্বার পরিচালক মাহফুজুল হক শাহ্, প্রকৌশলী প্রদীপ দত্ত, অধ্যক্ষ গণেশ ত্রিপাঠী সহ প্রমুখ ।

‘মুক্তির মন্দির সোপানতলে’ উদ্বোধনী সঙ্গীতসহ অনুষ্ঠানের প্রধান তত্ত্বাবধায়ক ছিলেন সংগঠনের যুগা সম্পাদক তারেক হাসান ও সার্বিক দায়িত্বে ছিলেন প্রণব দাশগুপ্ত।

উদ্বোধক কবি আবুল মোমেন বলেন, অহিংস আন্দোলনের প্রবক্তা মহাত্মা গান্ধী ও বাঙ্গালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শুধু দুটি দেশই প্রতিষ্ঠা করেননি, করেছেন দুটি পৃথক জাতিসত্ত্বা। তাই কোটি কোটি জনগণ তাঁদেরকে নিজ নিজ জাতির পিতার আসনে বসিয়ে সুমহান মর্যাদা দিয়েছে। অনুষ্ঠানের শুরুতেই মহাত্মা গান্ধীর জীবন আলেক্য ডকুমেন্টারি প্রদর্শিত হয়।

পূর্ববর্তী নিবন্ধফটিকছড়িতে বিয়ের ৪ দিনের মাথায় ব্যবসায়ী নিখোঁজ
পরবর্তী নিবন্ধফটিকছড়িতে আহত অবস্থায় পাওয়া গেল নিখোঁজ ব্যবসায়ীকে