অভিনেতা হওয়া হয়তো সহজ কিন্তু শিল্পী হওয়া সাধনার বিষয়। সেই শিল্পী হওয়ার পথেই শুরু থেকে হেঁটে চলেছেন প্রাণ রায়। নাটক কিংবা সিনেমায় তার ভিন্নমাত্রার অভিনয় দর্শক হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছে আগেই। রুপালি পর্দায় কখনো পকেটমার আবার কখনও নৃত্যের প্রশিক্ষক, আবার কখনও পুলিশ তো কখনও মুক্তিযোদ্ধার চরিত্রে অভিনয় করতে দেখা যায় এ অভিনেতাকে। সর্বশেষ মুক্তিপ্রাপ্ত ‘মুখোশ’ সিনেমায় তার অভিনয় প্রশংসিত হয়েছে। সমপ্রতি কথা হলো তার ব্যস্ততা ও বিভিন্ন বিষয় নিয়ে। সিনেমায় অভিনয়ের কি খবর? গুণী এ অভিনেতা বলেন, অনুদানে নির্মিত ‘একটি না বলা গল্প’ সিনেমায় মুক্তিযোদ্ধা চরিত্রে অভিনয় করেছি। স্বদেশের প্রতি ভক্তি-ভালোবাসা থেকে একজন মুক্তিযোদ্ধার যে বিসর্জন তাই তুলে ধরা হয়েছে চরিত্রে। এছাড়া একজন দায়িত্বশীল পুলিশ কর্মকর্তার চরিত্রে আমাকে দেখা যাবে ‘মেঘ রোদ্দুর খেলা’ সিনেমায়। আর ‘ভাঙন’ ছবিতে দেখা যাবে পকেটমার চরিত্রে। এর বাইরে ‘দানব’ ও ‘অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া’ নামের নতুন দুটি সিনেমায় কাজ করেছি। বিভিন্ন চরিত্রে কাজ করছেন। নিজেকে ভাঙার কাজটি কিভাবে করেন? প্রাণ রায় বলেন, ভিন্ন ভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করতে ভালো লাগে। একটা চ্যালেঞ্জ থাকে। তাছাড়া এর জন্য পরিচালকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। তারাই আমার ওপর ভরসা রেখে নানামাত্রার চরিত্রে কাস্ট করেন। এদিকে সমপ্রতি এ অভিনেতা ডাবিং শেষ করলেন শাহনাজ কাকলির নতুন সিনেমা ‘ফ্রম বাংলাদেশ’ এর। ছোটপর্দায় ব্যস্ততা সম্পর্কে জানতে চাই। অভিনেতা বলেন, এনটিভিতে প্রচার হচ্ছে ধারাবাহিক নাটক ‘স্মৃতির আলপনা আঁকি’। অন্যদিকে ‘আকাশ মেঘে ঢাকা’ ধারাবাহিক প্রচার হচ্ছে নাগরিক টিভিতে। রাশেদ রাহার পরিচালনায় কাজ করেছি ‘ঝাক্কাস’ শিরোনামের ওয়েব সিরিজে। ওয়েব মাধ্যমের বেশ কিছু নতুন প্রস্তাব রয়েছে। সবকিছু মিলে গেলে কাজ শুরু করব। প্রাণ রায় বলেন, সামনে পহেলা বৈশাখ। আমি চারুকলার ছাত্র। তাই মঙ্গল শোভাযাত্রার জন্য বিভিন্ন মুখোশ, চিত্রপট তৈরি করতে সময় পেলেই চারুকলায় চলে যাচ্ছি। ভীষণ ভালো লাগে বাংলার প্রাণের মেলায় নিজেকে যুক্ত করতে পেরে।